শুভ্রাংশু রায়। ফাইল চিত্র ।
পুরসভা নির্বাচনে নিজের ওয়ার্ড থেকে জয়ী মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু। এই ওয়ার্ডে জয়লাভ করলেন তিনি। মোট ১ হাজার ৬৪৬ ভোটে জিতলেন। জেতার পর শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘বিজেপি-তে যাওয়া আমার ভুল ছিল। দিদির হাত মাথায় না থাকলে কেউ জিততে পারবে না, সেটা আবার প্রমাণিত হল। লড়াই অনেকটাই কঠিন ছিল। কংগ্রেস, বিজেপি আমাকে হারাতে একজোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু মানুষ আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। এখনও বাবাকে জানানো হয়নি। ফোন করেছিলাম, পাইনি এখনও। তবে জানাব তো নিশ্চয়ই। বাবাই তো আমার অভিভাবক। আমি সব সময় মানুষের পাশে আছি।’’
প্রসঙ্গত, শুভ্রাংশু পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ালেও তাঁর বাবা মুকুল রায় এখনও খাতায়কলমে বিজেপি-র বিধায়ক। তাঁর বিধায়কপদ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে অনেক জলঘোলা হয়েছে, চলছে মামলাও। ২০১৯ সালের মে মাসে শুভ্রাংশু নিজেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেন। বিজেপি-তে পা বাড়ানোর পর তাঁকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনি বীজপুরের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১-এ ওই আসনে সুবোধ অধিকারীকে টিকিট দেয় তৃণমূল। তিনি জেতেন।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরে এলে মুকুলের হাত ধরে ফের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। যদিও খাতায়কলমে মুকুল এখনও বিজেপি-তেই।। তবে শুভ্রাংশুর সাসপেনশন উঠে যায়।
কাঁচরাপাড়া পুরসভায় মোট ২৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগেই এগিয়ে শাসকদল। ২০১৫ সালে এই ২৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। বাকি ২টির মধ্যে একটি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী এবং অন্যটিতে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করেন।
অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ৩০টি ওয়ার্ড, সিপিএম ৩টি এবং নির্দল ২টি ওয়ার্ড পেয়েছে।