মাস্ক নেই নড্ডা এবং রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের মুখে।
জেপি নড্ডার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ ডায়মন্ড হারবারে। বৃহস্পতিবারই সেখান থেকে ঘুরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তার পরই কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন তিনি। তাতে স্থানীয় বিজেপি নেতারা তো বটেই, দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী থেকে কর্মীরাও। কারণ সফররত নড্ডার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরাও।
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরের লাইটহাউসের মাঠে দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর দুপুর আড়াইটে নাগাদ রাজ্য নেতাদের অনককে সঙ্গে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের জন্য সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়েছিলেন নড্ডা। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেন মিশনের সম্পাদক স্বামী প্রাণানন্দ-সহ বেশ কয়েক জন মহারাজ। মিশনে নিরামিষ পদ দিয়ে আহারও সারেন নড্ডা। সেইসময় মহারাজদের পাশাপাশি মিশনের কিছু কর্মীও নড্ডার সংস্পর্শে আসেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা প্রশাসনের তরফেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এমনকি আশ্রম পরিদর্শনের সময় নড্ডার মুখে মাস্ক থাকলেও রামকৃষ্ণ দেবের মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় কয়েকজন মহারাজ ও নাড্ডার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। সে কারণেই আশ্রমের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সন্ন্যাসীদের একাংশ। রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, রবিবারই বিজেপির সদর দপ্তর থেকে মহারাজদেরকে করোনা পরীক্ষার জন্য আবেদন জানানো হয় বেলুড় মঠের কাছে। এ দিন সেই বার্তাই দ্রুত সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনে পাঠানো হয়েছে। বেলুড় মঠ থেকে সেই বার্তা আসার পর থেকেই নড্ডার সংস্পর্শে আসা সরিষা আশ্রমের মহারাজদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মহারাজ বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পর থেকেই চিন্তিত। তবে আমরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, মুখে মাস্ক লাগিয়েই নড্ডার সঙ্গে দেখা করি। আপতত নিভৃতবাসেই থাকব। মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করাব।’’
মহারাজদের পাশাপাশি দুশ্চিন্তার মেঘ নেমে এসেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের মনেও। ওই দিন রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি জেলার বেশ কিছু নেতারাও নড্ডার সংস্পর্শে এসেছিলেন। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘নড্ডাজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। জেলার যে সব দলীয় কর্মকর্তা ওঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলা হচ্ছে।’’