মোমো-আতঙ্ক দুই জেলায়

হাসনাবাদ ব্লকের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল টাকি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে। মোমো-র ছবি দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মেসেজ মুছেও ফেলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট ও ক্যানিং শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৯
Share:

আতঙ্কের হোয়াটস্অ্যাপ। বাঁ দিকে, বসিরহাটে। ডান দিকে, ক্যানিংয়ে।

এ বার মোমো-আতঙ্ক হাসনাবাদ এবং ক্যানিংয়ে। দুই পড়ুয়ার মোবাইলে মোমো-র নাম করে মেসেজ এসেছে।

Advertisement

হাসনাবাদ ব্লকের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল টাকি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে। মোমো-র ছবি দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মেসেজ মুছেও ফেলেন। কিন্তু তারপরেও বারবার মেসেজটি আসতে থাকায় তিনি লেখেন, ‘‘কে রে তুই? কী চাস?’’। পাল্টা মেসেজ আসে, ‘আই অ্যাম মোমো’। এরপরে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে বেশ কয়েকটি ‘হোয়াটসঅ্যাপ কল’ আসে ছাত্রীটির মোবাইলে। ভয় পেয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন সুস্মিতা। বিষয়টি পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়।

হাসনাবাদের কাকাড়িয়া গ্রামে বাড়ি অমিত সর্দারের। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ টাকি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অমিত তাঁর মোবাইলে মোমোর ছবি দেখে আতঙ্কিত হন। ১০ মিনিট ধরে তাঁর মোবাইলে একের পর প্রশ্ন আসায় বিষয়টি তিনি পরিবারের অন্যদের জানান। তাঁরা থানায় যোগাযোগ করেন। অমিতের কথায়, ‘‘রাত ১২টায় ফের কথা হবে বলে জানিয়েছে মোমো।’’

Advertisement

শনিবার সকালে ক্যানিংয়ের তালদির কলেজ পড়ুয়া দেবজ্যোতি পাল তাঁর মোবাইল থেকেই ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁর হোয়াটস্অ্যাপে মেসেজ আসে, ‘ইউ আর দেবজ্যোতি পাল। প্লিজ লাইক মোমো।’ ছাত্রটি জানতে চান, ‘কে তুমি?’ উত্তর আসে, ‘আই অ্যাম মোমো গেম।’ তারপর থেকে একের পর এক মেসেজ আসতে থাকে। এক সময়ে তাঁকে গেম খেলার জন্য বলা হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দেবজ্যোতি। তিনি ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। তবে পুলিশকে সরাসরি কিছু জানায়নি পরিবারটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement