মৃতদেহ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট-সহ ভারতে আসা এক ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল বাদুড়িয়ার মাসিয়া গ্রামে। এর জেরে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ি এবং দোকানে ভাঙচুর করা হল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট-সহ ভারতে আসা এক ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল বাদুড়িয়ার মাসিয়া গ্রামে। এর জেরে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ি এবং দোকানে ভাঙচুর করা হল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি বাংলাদেশের যশোর জেলার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা এম ডি সাকুর আলি মোড়ল (৬৬)। কয়েকদিন আগে তিনি চিকিৎসার জন্য বৈধ পাসপোর্টেই ভারতে আসেন। মাসিয়া বাজারে তিনি তাঁর এক পরিচিত সামসুর মণ্ডল ওরফে বাবলুর বাড়ি উঠেছিলেন।

সেখান থেকে সাকুর হরিণঘাটায় তাঁর আর এক আত্মীয়ের বাড়িও গিয়েছিলেন। ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দমদম এয়ারপোর্টের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

ঘটনার পর সাকুরের হরিণঘাটার ওই আত্মীয় এবং বাবলু মিলে জরুরি কাগজপত্র বের করার কাজগুলি করেন। স্থানীয় থানা-সহ বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে বিষয়টি জানিয়ে সাকুরের দেহ বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলে। কিন্তু এ সব করতে গিয়ে শনিবার রাত হয়ে যায়। সাকুরের দেহ তাই বাবলুর দোকানে এনে রাখা হয়।

পুলিশ জানায়, এ দিন ভোরে বাবলুর দোকান থেকে মৃতদেহটি বের করে গাড়িতে করে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। তাঁরা মনে করেন, কাউকে খুন করে দোকানের ভিতরে গুম করে রাখার পর তা পাচার করা হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। রটে যায়, বাবলুর লোকজন বহিরাগত একজনকে খুন করে দোকানে লুকিয়ে রেখে, পরে তা পাচারের চেষ্টা করছে। একদল উত্তেজিত জনতা এর জেরে বাবলুর দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।

খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানা থেকে পুলিশ গ্রামে যায়। পুলিশের অন্য একটি দল বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটে গিয়ে মৃতদেহ আটকায়। সমস্ত নথি পরীক্ষার করে পরে তারা দেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। পুলিশ জানায়, বাবলু পুলিশ বা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বাংলাদেশির মৃত্যুর খবরটা দেননি। তাই এই বিভ্রান্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement