পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রোমোটার। নিজস্ব চিত্র।
প্রোমোটারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল স্থানীয় এক দুষ্কৃতী। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রোমোটারকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি প্রোমোটারকে ভয় দেখাতে ওই দুষ্কৃতী শূন্যে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের উকিলপাড়া মোড়ের কাছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এক পুলিশকর্মীর সহযোগিতায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম টুকান দাস। এর আগেও থানায় তার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উকিলপাড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন প্রোমোটার দেবাশিস দাস। অভিযোগ, টুকান এসে দেবাশিসের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু সেই টাকা দিতে রাজি নননি দেবাশিস। এর পরই সোমবার রাতে প্রকাশ্যে বন্দুকের বাঁট দিয়ে দেবাশিসকে মারধর শুরু করে টুকান। শুন্যে গুলি চালিয়ে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় সে। সেই সময়ই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন পুলিশকর্মী। প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে এক জনকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে দেখে ওই দুষ্কৃতীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। তার হাত থেকে বন্দুকটিও কেড়ে নেন। এর পরই স্থানীয়রা ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীকে মারধর করেন। খবর দেওয়া হয় বারুইপুর থানায়। পরে পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে টুকানকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় বন্দুকটিও।
তবে স্থানীয়দের মারধরের ফলে আহত হওয়ায় টুকানকে প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রোমোটার দেবাশিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও গুলি চলার ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল টুকান। সোনারপুর থেকে তার প্রেমিকাকে অপহরণ করে এনেছিল বারুইপুরের বাড়িতে। পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে গেলে সে-ই উলটে পুলিশকে মারধর করে, এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ৭ দিন আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আবার কী করে ওই দুষ্কৃতী বন্দুক জোগাড় করল?