এই নির্মাণ ঘিরেই জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সামসুল হুদা।
জলাভূমি ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ করার অভিযোগে আট জনকে আটক করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের ধর্মতলা-পাঁচুড়িয়া এলাকায়।
এই পঞ্চায়েতের ধর্মতলা-পাঁচুড়িয়া, বামনঘাটা, তাড়দহ-সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমি রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইদানীং রাতারাতি জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ। নিউটাউন লাগোয়া কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার কারিগরি ভবনের কাছে ধর্মতলা-পাঁচুড়িয়া এলাকায় চার কাঠা জমির উপর পাঁচিল দিয়ে ঘিরে একটি নির্মাণ হচ্ছে। অভিযোগ, পুরো নির্মাণটি হচ্ছে জলাভূমির উপর। এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগেই আট জনকে আটক করা হয়।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘‘রাতারাতি জলাভূমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে অথচ পুলিশ, প্রশাসন ও ওয়েটল্যান্ড অথরিটি নীরব দর্শক। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই সমস্ত জলাভূমি জবরদখল হয়ে যাচ্ছে।’’ ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, আমি প্রথম থেকেই এই বেআইনি কাজের বিরোধিতা করে আসছি। ইতিমধ্যে আমি প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর, পুলিশ ও ওয়েটল্যান্ড অথরিটিকে চিঠি লিখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু সবাই হাত গুটিয়ে বসে আছে।’’ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, ‘‘আমি জলাভূমি ভরাট নিয়ে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছি। যারা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করব।’’ পুলিশের দাবি, অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দোপাধ্যায় বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। ব্লক ভূমি আধিকারিককে বলব বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। সেই মতো ব্যবস্থা নেব।’’ ব্লক ভূমি আধিকারিক অমিতাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা যখনই অভিযোগ পেয়েছি তখনই সংশ্লিষ্ট দফতরে রিপোর্ট জমা দিয়েছি, পদক্ষেপ করেছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
পুলিশ জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।