পড়ুয়া ও অভিভাবকদের চন্দ্রযানের অবতরণের ভিডিও লাইভ দেখানো হল বনগাঁ হাইস্কুলে , দেখানো হয়েছে চন্দ্রযানোর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও। —নিজস্ব চিত্র।
চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। জেলায় জেলায় বিশেষ মুহূর্তের ছবি দেখানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনেক ক্লাব, স্কুল প্রোজেক্টরের মাধ্যমে চাঁদের পিঠে ভারতের পা রাখার ছবি সকলকে দেখিয়েছেন বুধবার বিকেল থেকে। তবে এক দল মানুষের হেলদোল দেখা গেল না এ সব নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, গোটা দেশে এত সমস্যা। তখন চাঁদে ভারত সফল অভিযান চালাল কী চালাল না, তাতে সাধারণ মানুষের কী আর এসে যায়!
কোথাও কোথাও চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করে পুজো-অর্চনা, যজ্ঞ হয়েছে। সাগরের বাসিন্দা, শেখ নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘চন্দ্রযানের সাফল্য কামনায় সাগরদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনা চলছে। বিশ্ববাসীর কাছে এই অভিযান ইতিহাস রচনা করল।’’ কাকদ্বীপের বাসিন্দা, পেশায় টোটো চালক সুবল দাস বলেন, ‘‘রাস্তাঘাটে শুনছি, চাঁদে চন্দ্রযান পাঠানো হয়েছে। খুব ভাল লাগছে শুনে। সফল হয়েছে বলেও জানলাম। আমাদের দেশের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।’’
হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক পুলক রায়চৌধুরী জানান, চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ পড়ুয়াদের সরাসরি দেখানোর জন্য স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসরুমে বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রায় দেড়শো জন পড়ুয়া এক সঙ্গে এই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে। বসিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ অশোককুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, স্কুলের সমস্ত পড়ুয়া চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ যেন দেখতে পায়। তাই ৩টের সময়ে কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’’
বনগাঁ হাই স্কুলে চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। স্কুলের মুক্তমঞ্চের দেওয়ালে প্রজেক্টেরের মাধ্যমে তা সরাসরি দেখানো হয়। পাশাপাশি, চন্দ্রযান সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়।
প্রধান শিক্ষক কুণাল দে বলেন, ‘‘ছাত্র এবং অভিভাবক-সহ হাজারখানেক মানুষ এ দিন চন্দ্রযানের অবতরণ দেখেছেন স্কুল থেকে।’’ বনগাঁ আদালত চত্বরেও এ দিন চন্দ্রযানের অবতরণ জায়ান্ট স্ক্রিনে লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তবে এ সব নিয়ে হেলদোল দেখা গেল না সন্ত্রাস-দীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বড় অংশেই। আইএসএফের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা বলেন, ‘‘দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের পেটে ভাত নেই, মাথায় ছাদ নেই। চন্দ্রযান সম্পর্কে জেনে কী করব?’’ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাআরাবুল ইসলাম অবশ্য বলেন, ‘‘এই অভিযানে ভারতবাসী হিসেবে আমরা গর্বিত।’’