প্রতীকী চিত্র
স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ।
কাথারি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় অন্বেষা বিশ্বাসের (২৪)। মৃতার বাবা বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের অভিযোগ, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার মেয়ের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ, শ্বশুর শঙ্করলাল ঘোষ এবং শাশুড়ি রীতা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপরেই গ্রেফতার হয় সুদীপ্ত। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে হাসনাবাদ থানার টাকির ত্রিমোহনীর বাসিন্দা অন্বেষাকে বিয়ে করে পেশায় গৃহশিক্ষক সুদীপ্ত। বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো নগদ টাকা ও গয়না দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও আরও টাকার দাবি করত শ্বশুর-শাশুড়ি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্বেষাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করত তারা।
পুলিশ জানায়, ১০ জানুয়ারি বিকেলে অন্বেষাকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে ঝুলতে দেখা যায়। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘চাহিদা মতো সব দেওয়ার পরেও কয়েক লক্ষ টাকা চেয়ে মেয়ের উপরে অত্যাচার শুরু করে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি। ঘটনার সন্ধ্যায় খবর পাই, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, মেয়ে মারা গিয়েছে। অভিযোগ জানাতে থানায় আসতে চাইলেও জামাই ও তার সঙ্গীদের হুমকির ভয়ে আসতে পারিনি।’’
বিশ্বজিতের দাবি, তাঁর মেয়েকে গলায় দড়ি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সুদীপ্ত অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার কথায়, ‘‘সামান্য ঘটনাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ত স্ত্রী। ঘটনার দিন বাড়ি ছিলাম না। পরে শুনি, স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’