ধৃত গোঁসাই
হেরোইন বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে বনগাঁর কালমেঘা গ্রাম থেকে সহদেব মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়।
অভিযোগ, সহদেব ওই গ্রামের বাগানে হেরোইন বিক্রি করত। সেখানে বসেই নেশা করত বহিরাগত যুবকেরা। গ্রামের মানুষ একাধিকবার কারবার বন্ধ করতে বললেও সহদেব সে কথা শোনেননি বলে অভিযোগ। গ্রামের মানুষকে উল্টে হুমকিও দেয়।
রবিবার দুপুরে গ্রামবাসীরা এককাট্টা হয়ে নেশার ঠেকে হানা দেন। সহদেবকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। উদ্ধার হয় হেরোইন। গ্রামের মহিলা-পুরুষেরা দলবদ্ধ ভাবে থানায় এসে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দেন। রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে।
সহদেব এলাকায় গোঁসাই নামে পরিচিত। কয়েক বছর আগে বাড়ি ছেড়ে সাধু হয়ে চলে গিয়েছিল। তারপর থেকেই এই নাম। গ্রামবাসী জানালেন, গোঁসাইয়ের হেরোইন ও গাঁজার কারবারের জন্য গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অনিমেষ সরকার নামে এক যুবক বলেন, ‘‘গ্রামের বাইরে থেকে অনেকে হেরোইনের নেশার টানে এখানে ভিড় করে। গ্রামের যুবকেরাও আসক্ত হয়ে পড়ছিলেন। কয়েকজন আসক্তকে ধরে আটকেও রাখা হয়েছিল। তারপরও তাদের আসা বন্ধ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, গ্রামে হাঁস-মুরগি চুরি বেড়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে সে কাণ্ড ঘটাচ্ছে আসক্তেরাই। শ্রাবণী সরকার নামে এক তরুণীর কথায়, ‘‘বাইরে থেকে নেশায় আসক্তেরা গ্রামে ভিড় করায় আমরা নির্ভয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে পারি না। গোঁসাইকে নিষেধ করলে উল্টে হুমকি দেয়।’’
টিন দিয়ে ঘেরা বাড়ি গোঁসাইয়ের। স্ত্রী সরস্বতী খেতমজুরের কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেল, গোসাই মাদক বিক্রির পাশাপাশি নিজেও মাদকাসক্ত। স্ত্রীর কাছ থেকে জোর করে নেশার টাকা কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ।