Police Stations In Bhangar

ভাঙড় ডিভিশনের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, দায়িত্ব নিলেন আধিকারিকেরা

সোমবার কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট, ভাঙড়, চন্দনেশ্বর থানা, উপ-নগরপালের অফিস এবং ট্র্যাফিক গার্ডের অফিস ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

প্রথম দিনই ভাঙড়ে এসে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেল কলকাতা পুলিশ। ফুল দিয়ে পুলিশকে যেমন বরণ করে নেওয়া হল, তেমনই থানায় অভিযোগ জানাতে আসা সাধারণ মানুষকে ফুল ও চকলেট দেওয়া হল পুলিশের পক্ষ থেকে। সোমবার কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট, ভাঙড়, চন্দনেশ্বর থানা, উপ-নগরপালের অফিস এবং ট্র্যাফিক গার্ডের অফিস ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।

Advertisement

এ দিন কলকাতায় যখন মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ভাঙড় ডিভিশনের থানা উদ্বোধন করছেন, তখন ভাঙড়ের নলমুড়িতে উপ-নগরপালের অফিসে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (২) শুভঙ্কর সিংহ সরকার, যুগ্ম-নগরপাল (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার, উপ-নগরপাল সৈকত ঘোষ, বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি-সহ অন্যেরা।

এ দিন নতুন থানা উদ্বোধনের পরে উত্তর কাশীপুর থানায় ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে যাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিলেন পশ্চিম কাঁঠালিয়ার শাকিলা বিবি। ওই গৃহবধূর অভিযোগ নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে ফুল ও চকলেট দিয়ে অভ্যর্থনা জানান উত্তর কাশীপুর থানার নবনিযুক্ত আইসি অমিত চট্টোপাধ্যায়। কাশীপুর কিশোর ভারতী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকেরা ওই থানার আইসি থেকে শুরু করে সমস্ত পুলিশকর্মীর হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও ছাত্রছাত্রীদের চকলেট দেওয়া হয়। নতুন থানার আধিকারিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন এলাকার পুরপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড় ডিভিশনের উদ্বোধন করার পরে জানান, এটি কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন। এর পাশাপাশি খেয়াদহ ১ ও ২ পঞ্চায়েতকে ভাঙড় ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত করার কথাও জানান তিনি। বানতলা লাগোয়া ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় ঠিক মতো নজরদারি না হওয়ার কারণে বাইরে থেকে অনেকে এসে নানা রকম কাজকর্ম করে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সময়ে আমরা ছ’টি পুলিশ কমিশনারেট করেছি, ১৪টি পুলিশ জেলা করেছি, ন’টি ব্যাটালিয়ন করেছি, ৪৩টি মহিলা থানা করেছি, ১৭৩টি নতুন থানা করেছি, আটটি উপকূলীয় থানা করেছি। ৩৫টি সাইবার থানা, ১৯টি হিউম্যান রাইটস কোর্ট করা হয়েছে। আমরা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও করেছি। অনেকে আমাদের বদনাম করে। ইতিমধ্যে শ্রীরামপুর সেরা থানার স্বীকৃতি পেয়েছে। কলকাতা নিরাপদ শহর হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’’

উদ্বোধনের পরে নলমুড়িতে উপ-নগরপালের অফিসে যান কলকাতার নগরপাল বিনীত
গোয়েল। তিনি উপ-নগরপাল সহ ভাঙড় ডিভিশনের চারটি নতুন থানার আইসি এবং ট্র্যাফিক গার্ডের আইসি-সহ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে নগরপাল বলেন, ‘‘আজ উদ্বোধনের পর থেকে কলকাতা পুলিশ কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের অফিসারেরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার সব দিক রক্ষা, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা প্রস্তুত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement