ভয় না পেয়ে ভোট দিন, আবেদন সিপিএম প্রার্থীর

এ দিন বিকাশরঞ্জনের সমর্থনে ভাঙড় ১ ব্লকের নারায়ণপুর, প্রাণগঞ্জ ও জাগুলগাছি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার হয়।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙ্গড় শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১২:২৪
Share:

প্রচারের ফাঁকে গলা ভেজাচ্ছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

মানুষকে বলব, আপনারা ভয়ভীতি কাটিয়ে ভোট দিন। আর যারা গুন্ডামিরা কথা ভাবছে তাদের সচেতন হতে বলব। নইলে গ্রেফতার হতে হবে।

Advertisement

রবিবার ভাঙড়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক তথা বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। এ দিন বিকাশরঞ্জনের সমর্থনে ভাঙড় ১ ব্লকের নারায়ণপুর, প্রাণগঞ্জ ও জাগুলগাছি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার হয়।

ভাঙড়ের ভোগালি ২ পঞ্চায়েত প্রধান মোদাচ্ছের হোসেনের হুমকির প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের কালচার। একা মোদাচ্ছের নয়, ওদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলেছেন, আপনাদের কোনও নিয়ম মানতে হবে না, আপনারা আমার কথা শুনুন। একজন মুখ্যমন্ত্রী যখন সুশৃঙ্খল বাহিনীকে এমন কথা বলতে পারেন, তখন বুঝতে হবে, তিনি ও তাঁর দল কতটা অসামাজিক ও বেআইনি কাজ করতে প্রস্তুত। তবে, ওরা যত আইন ভাঙবে, আমরা তত ওদের উপর আইনি আক্রমণ শানাব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের রাজনীতিতে চূড়ান্ত কলঙ্কজনক এক অধ্যায়। তিনি বাঙালির সভ্যতা, সংস্কৃতি, রুচি সব বিসর্জন দিয়েছেন। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদিও একই ধরনের। এঁরা আরএসএসের স্কুলিংয়ে বড় হয়েছেন। খিস্তিখেউড়, কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। এটা ওদের রাজনৈতিক কালচার। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওরা মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। কেউ বুথে এজেন্ট দিতে পারবে না, ভোট দিতে পারবে না, ভোট দিলে তাকে শায়েস্তা করা হবে! এ হল পরাজিতের আর্তনাদ। ওরা হেরে গিয়েছে। ওরা হেরে যাবে। নিভে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করতে চায় যে সব দুষ্কৃতী, তারা বাইরে থাকতে পারে না। তাদের জেলে ভরতে হবে। অসভ্য, অপদার্থরা বাইরে বসে বাহুবলীর কাজ করবে, এ হতে পারে না। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন চুপ করে থাকলে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement