বিধায়ককে ক্ষোভ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল।
বুধবার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বরুণী এলাকায় রাস্তার দাবিতে বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থল থেকে চলে যান বিধায়ক।
এ দিন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে এলাকায় বেরোন রহিমা। দক্ষিণ বরুণী এলাকায় বিধায়ক যেতেই জড়ো হন স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা জানান, পাঁচ বছর আগে বিধায়ক একটি রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজ আজও হয়নি। বিধায়ককে সেই রাস্তা দেখে আসার অনুরোধ করেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, বিধায়ক যেতে চাননি।
এ কথা শুনে হই-হট্টগোল শুরু করেন অনেকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তৃণমূলের কর্মীরাও ছিলেন। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ালে বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান।
রহিমার সঙ্গে থাকা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল, দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুর রহমানেরা পরিস্থিতি সামলান। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে পরে ভাঙা রাস্তা দেখতে যান বীণা। তিনি বলেন, “রাস্তার কাজ যাতে তাড়াতাড়ি হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল ফারহা বলেন, “রাস্তাটি আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি। ভোটের মুখে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া নেতারা কিছুই করেন না। তাই মানুষ রাস্তার দাবিতে ক্ষুব্ধ। আমরা ঠিক করেছি, রাস্তা না হলে ভোটকেন্দ্রমুখো হব না।”
রহিমা পরে বলেন, “এ দিন যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তারা আসলে আইএসএফ কর্মী। আমি এই রাস্তা উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছি। কৃষি বিপণন দফতর থেকেও রাস্তা করা হয়েছে।”
আইএসএফের জেলা নেতা কুতুবুদ্দিন পুরকাইত বলেন, “কথা দিয়েও রাস্তার কাজ হয়নি বলে দলমত নির্বিশেষ গ্রামবাসীরা বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ জানিয়েছেন।”