লো ভোল্টেজে ভুগছে ব্যবসা

দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং। আর যদি বা  আলো থাকে, বাতি জ্বলে টিমটিম করে। পাখা যেন ঘুরেও ঘোরে না।

Advertisement

সমীরণ দাস

জয়নগর শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৮ ০২:১৮
Share:

বাড়িতে বসানো হয়েছে স্টেবিলাইজার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

দিনের মধ্যে বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং। আর যদি বা আলো থাকে, বাতি জ্বলে টিমটিম করে। পাখা যেন ঘুরেও ঘোরে না।

Advertisement

দিনের পর দিন এই অবস্থা দক্ষিণ বারাসতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, সন্ধ্যা হলেই ভোল্টেজ কমে যায়। পড়তে বসলে চোখ জ্বালা করে। মাথা ধরে আসে। টিভি পর্যন্ত চলে না কখনও সখনও।

বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার এই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু ফল হচ্ছে না। অসুবিধায় পড়তে হয় এলাকার ব্যবসায়ীদেরও। তাঁদের কথায়, ‘‘এমন আলোর অবস্থা থাকে, ঠিকমতো দোকান চালানো যায় না। আর পাখা তো না চলার মতো করে চলে। গরমের মধ্যে দোকানে অসুস্থ হয়ে যাই।’’

Advertisement

বিদ্যুতের এই পরিস্থিতি এলাকার অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। গুমোট গরমে অনেকেই সাত তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এক ব্যবসায়ী জানালেন, এ ভাবে দোকান বন্ধ করলে ক্ষতি হয়। কিন্তু দোকানে বসে কাজকর্ম চালাতে বেশ অসুবিধা হয়।

লো ভোল্টেজের কারণে সমস্যায় পড়েছে এলাকার লেদ ও কাঠের কারখানাগুলি। মালিকেরা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের এই অবস্থার জন্য মেশিন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। লোকসান হচ্ছে। সময় মতো মাল সরবরাহ করতে না পারায় অনেক সময়ে বরাত হাতছাড়া হয়।

ভোল্টেজ কম থাকায় প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে স্টেবিলাইজার ব্যবহার করতে হয়। এলাকার সব দোকানেও স্টেবিলাইজারেই আলো জ্বলে সন্ধ্যার পর থেকে। স্থানীয় এক দোকানদারের কথায়, ‘‘এখানে স্টেবিলাইজার ছাড়া কোনও উপায় নেই। স্টেবিলাইজার ছাড়া আলোই জ্বলবে না।’’

সমস্যা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে কম মাত্রার স্টেবিলাইজারে আর কাজ চলছে না বলে জানালেন অনেকে। ভোল্টেজ ঠিক রাখতে স্টেবিলাইজারের ব্যবহার আবার অন্যদের ক্ষেত্রে লো ভোল্টেজের সমস্যা বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ বারাসত বিদ্যুত বণ্টন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ইমন চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস জানালেন, লো ভোল্টেজের সমস্যা সমাধানের জন্য সংগ্রামপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবারহের একটা অতিরিক্ত লাইন মগরাহাট হয়ে দক্ষিণ বারাসতের কাছে বেলিয়াচণ্ডীতে আনার চেষ্টা চলছে। তবে মগরাহাটের কাছে স্থানীয় কিছু সমস্যা থাকায় কাজ আটকে থাকায় দেরি হচ্ছে।’’

এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগামী অক্টোবরের মধ্যে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে বিধায়কের আশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement