এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও অধিকাংশ সময় লো ভোল্টেজ থাকে। একবার লোডশেডিং হলে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ আসে না। এমনই অবস্থা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত সমস্ত এলাকাগুলির। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করার জন্য এলাকায় একটি পাওয়ার হাউসের প্রয়োজন। সে কারণে চন্দনেশ্বরে ১৫ কাঠা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে ওই জমিতে পাওয়ার হাউস তৈরি করা যায়।’’ এর জন্য বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়ে অনুরোধও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার চন্দনেশ্বর ১ ও ২, তাড়দহ, দুর্গাপুর, শাকশহর, বোদরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুতের কোনও পাওয়ার হাউস নেই বলেই অধিকাংশ সময় লো ভোল্টেজ থাকে বলে বসিন্দারা জানান। লো ভোল্টেজের জন্য ওই সব এলাকায় স্কুল, ব্যাঙ্ক-সহ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সব্যসাচী ইসলাম, মোমেনুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই এলাকায় বিদ্যুতের একটা বড় সমস্যা রয়েছে। সব সময় লো ভোল্টেজ থাকে। কোনও কাজ করা যায় না। বাচ্চাদের পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হয় না।’’
ভাঙড়ের বিদ্যুৎ দফতরের এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জানান, ভাঙড়ের নলমুড়িতে যে পাওয়ার হাউস আছে তার থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে। দূরত্বের কারণে এবং বিদ্যুতের অনেক গ্রাহক বেড়ে যাওয়ায় সঠিক ভোল্টেজ পাওয়া যায় না। তার উপরে রয়েছে হুকিংয়ের সমস্যা। যদি চন্দনেশ্বরে একটা পাওয়ার হাউস তৈরি হয়, তা হলে ওই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। তার জন্য দফতরের তরফ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।