প্রতীকী ছবি
ভাঙড় ২ ব্লকে ফের চালু হল জমির মিউটেশন ও কনভার্শনের কাজ।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে তিন বছরেরও বেশি সময়ে এই ব্লকে জমির মিউটেশন, কনভার্শনের কাজ বন্ধ ছিল। যার জেরে সমস্যায় পড়ছিলেন মানুষ। জমির মিউটেশন করতে না পারায় সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করতে পারছিলেন না অনেক গরিব মানুষ। শেষ পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় স্বস্তিতে এলাকাবাসী।
২০১৭ সালে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আন্দোলনে তিন গ্রামবাসীর মৃত্যুও হয়। পাওয়ার গ্রিডের জন্য গরিব মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ ওঠে। ভাঙড় ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আবাসন প্রকল্পের জন্যও গরিব কৃষকদের থেকে জোর করে জমি আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্লক এলাকার ১০টি পঞ্চায়েতের ৫৯টি মৌজায় জমির মিউটেশন ও কনভার্শনের কাজ বন্ধ করা হয়।
এরপর থেকেই জমি-সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সমস্যায় পড়তে থাকেন স্থানীয় মানুষ। ব্লক এলাকায় মিউটেশন ও কনভার্শন বন্ধ থাকায় থমকে যায় ভাঙড়ের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের কাজও। সাধারণ মানুষ ব্লক স্তর থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানান। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। সেই মতো এই সপ্তাহে ব্লক এলাকায় জমি মিউটেশন ও কনভার্শনের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে নির্দেশ আসে।
ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি বলেন, ‘‘আপাতত মানুষ তাঁদের জমি-সংক্রান্ত মিউটেশন ও কনভার্শন করাতে পারবেন। তবে রিয়েল এস্টেট বা প্রাইভেট কোম্পানিগুলির উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরে সমস্যা চলছিল। আপাতত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় অনেকে উপকৃত হবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য আমরা সরকারের কাছে আবেদন করব।’’