Patharpratima

Dam Construction: জমি জটে আটকে রয়েছে রিং বাঁধ তৈরির কাজ

জমি মালিকদের অনেকের দাবি, ওই জমিটুকুই তাঁদের সম্বল। সরকার ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অধিগ্রহণ করুক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাথরপ্রতিমা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৭:৫৪
Share:

নামখানা ব্লকে রিং বাঁধ তৈরির কাজ চলছে। ছবি: দিলীপ নস্কর।

ইয়াসে ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে অনেক জায়গাতেই। কিছু ক্ষেত্রে বাঁধ বাঁচাতে, বাঁধের কিছুটা দূর থেকে রিং বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রিং বাঁধ দেওয়ার ক্ষেত্রে জমি নিয়ে শুরু হয়েছে সমস্যা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রিং বাঁধ তৈরির জমির জন্য কোনও ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই জমি দিতে চাইছেন না। ফলে জমি জটে রিং বাঁধের কাজ আটকে রয়েছে অনেক জায়গায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, সঠিকভাবে রিং বাঁধ তৈরি না হলে দুর্যোগে ফের ভাসতে হবে।

Advertisement

ইয়াসের ধাক্কায় পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেড়ম্বগোপালপুর পঞ্চায়েতের কুয়েমুড়ি গঙ্গারঘাট পল্লির কাছে নাকচরা নদী বাঁধ কয়েক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল। বাঁধ রক্ষা করতে এখানে প্রায় দেড় কিলোমিটার রিং বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা জমি নিয়েই। ক্ষতিপূরণ না পেলে জমি ছাড়তে রাজি নন জমির মালিকেরা। ফলে আপাতত বাঁধ তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। জমি মালিকদের অনেকের দাবি, ওই জমিটুকুই তাঁদের সম্বল। সরকার ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অধিগ্রহণ করুক। দিনকয়েক আগে প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা জমি দেখতে এলে তাঁদের কাছেও জমির মালিকেরা জোট বেঁধে ক্ষতিপুরণের দাবি তোলেন।

শুধু ওই এলাকাতেই নয়, জি প্লট পঞ্চায়েতের সীতারামপুর, সত্যদাসপুর, গোবর্ধনপুর, কৃষ্ণদাসপুর, ইন্দ্রপুর, অচিন্ত্যনগর পঞ্চায়েতের কে প্লটের পূর্ব শ্রীপতিনগর, কামদেবপুর, বিষ্ণুপুর চড়কতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জমি সমস্যার জেরে রিং বাঁধ তৈরির কাজ এগোচ্ছে না। অভিযোগ, সরকারি ক্ষতিপুরণ মিলছে না। কোথাও কোথাও অবশ্য বাঁধ না হলে ফের গোটা এলাকা প্লাবিত হবে, এই আশঙ্কায় নিরুপায় হয়ে অনেকে জমি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণের দাবিও উঠছে।

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, গতবছর আমপানের পরেও একইরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। সে বার গোপালনগর পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামের কাছে গোবদিয়া নদী বাঁধ প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভেঙে গিয়েছিল। পরে সেখানে ২০০ মিটার রিং বাঁধ তৈরি হয়। তবে সেক্ষেত্রেও জমি নিয়ে সমস্যা হয়। পরে স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের লোকজন এলাকায় এসে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন। ওই এলাকার বাসিন্দা পঞ্চায়েত সদস্য অনুরাগ দাস বলেন, “এখানে রিং বাঁধ করতে গিয়ে জমির মালিকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মালিক পক্ষকে রাজি করানো হয়।”

পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা অবশ্য জানান, অনেক জায়গাতেই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাঁর কথায়, “রিং বাঁধ তৈরির ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাধান করা গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জমির মালিকরা ক্ষতিপুরণের দাবি তুলেছেন। পঞ্চায়েত মারফত জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement