ধৃত সাবির শেখ। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় প্রবল প্রতাপ তাঁর। প্রতিবেশীরা জানতেন পুলিশের ‘বড় কর্তা।’ চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে বেশ কয়েক জন বেকার যুবকের পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি আর দিতে পারেননি। পরে জানা গেল, আদতে পুলিশই নন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থেকে এমনই এক ভুয়ো পুলিশকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, ভুল পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণা করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সাবির শেখ। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পাইকপাড়া এলাকায়। মাস ছয়েক আগে স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায় একটি বাড়িভাড়া করে ছিলেন তিনি। শনিবার ওই ভাড়াবাড়িতে গিয়ে সাবিরকে ঘিরে ধরেন কয়েক জন যুবক। অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পর অনেক দিন কেটে গিয়েছে। কেউ-ই চাকরি পাননি। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বরুপনগর থানার ওসি অরিন্দম হালদার জানিয়েছেন, ওই ভুয়ো পুলিশ আসলে আদা-রসুনের পাইকারি ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রেই স্বরূপনগর এলাকায় তাঁর যাতায়াত ছিল। পুলিশ অফিসার সেজে চার চাকার গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন অভিযুক্ত। বেশ কয়েক জন বেকার যুবকের সঙ্গে পরিচয় করেন তিনি। তাঁদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলেন।
জানা গিয়েছে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সাবির, তাঁদের মধ্যে এক জন তেঁতুলিয়া কলেজের ছাত্রনেতা। মূলত তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পরে বেশ কয়েক জন সাবিরের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।
রবিবার স্বরূপনগর থানার পুলিশ ধৃতকে বসিরহাট আদালতে হাজির করিয়েছিল। আদালত তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।