কামারহাটির ভোট শেষ হতেই কাজ বন্ধ চটকলে

কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সোমবার। আর তার পরের দিনই ফের বন্ধ হয়ে গেল ওই এলাকার প্রবর্তক জুটমিল। কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ২৫০০ জন শ্রমিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১২
Share:

কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সোমবার। আর তার পরের দিনই ফের বন্ধ হয়ে গেল ওই এলাকার প্রবর্তক জুটমিল। কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ২৫০০ জন শ্রমিক। ঘটনাচক্রে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল কামারহাটি পুরসভার ভোটের ফল ঘোষণার পরের দিনও ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই চটকলের। ঠিক এক বছরের মাথায় একই কাণ্ড ঘটল।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ওই চটকলের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন, গেটে ঝুলছে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বা কাজ বন্ধের নোটিস। সঙ্গে সঙ্গেই কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। চটকল-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কাঁচা পাটের জোগান কমে যাওয়ায় কারখানার কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

কিন্তু সত্যিই কি কম জোগানের জন্য বন্ধ করতে হল কারখানা?

Advertisement

২০১৫ সালে ঝাঁপ বন্ধের মাস দশেকের মাথায় গত ফেব্রুয়ারিতে ফের কাজ শুরু হয় প্রবর্তক চটকলে। তখন চটকল-কর্তৃপক্ষ জানান, উৎপাদন কম বলে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে বেশ কিছু দিন শ্রমিক-অসন্তোষ চলে। তার মধ্যেই তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরই বেধ়ড়ক পিটিয়ে দেয় কিছু কর্মী। গত মার্চে ফের বন্ধ হয়ে যায় কারখানা। স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এব‌ং শ্রম কমিশনের বৈঠকের পরে সমস্যা মিটে যায়। চলতি মাসের ৫ তারিখে ফের কারখানা খোলে। তার পরে এ দিন ফের তালা ঝুলল কারখানায়।

শ্রমিক-বিক্ষোভও শুরু হয়ে যায় সকালেই। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা শ্রমিক-নেতা বিমল সাহা বলেন, ‘‘মালিক পক্ষ নিজেদের গন্ডগোলের জন্যই বারবার কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সাত দিনের মধ্যে কারখানা না-খুললে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement