অমিত শাহ ও জেপি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
করোনার জেরে দুই দফায় হাসপাতাল ঘুরে শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাই শেষ মুহূর্তে বাতিল হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উত্তরবঙ্গ সফর। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁর বদলে উত্তরবঙ্গে আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু হঠাৎ সূচি বদল হওয়ায় উত্তরবঙ্গের আট জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকটি ১৭ তারিখে হচ্ছে না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে ১৯ তারিখ সেই বৈঠকটি হবে। নড্ডা ভার্চুয়াল বৈঠকে জুড়বেন অমিত শাহকে। এখন কেন্দ্রীয় সচিব তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দ মেনন উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় ঘুরে বৈঠক করছেন। সেখানে দলের জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি দেখে আগামীতে কি করণীয় তা ঠিক করা হচ্ছে। তাতে দলবদল থেকে দলীয় দফতর খোলা সব রয়েছে। দলের রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন না। আমাদের সভাপতি জেপি নড্ডা আসবেন। পুরোটাই সাংগঠনিক বৈঠক।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরের ৫৪ আসনের অন্তত ৫০টি জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটের নিরিখে তারা ৩৮টি আসনে এগিয়ে। লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহই ছিলেন প্রচারের প্রধান কাণ্ডারী। নিজে দু’বার শিলিগুড়ি এসে পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যান। বিজেপি সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের স্থান, কালও ঠিক করেছিলেন তিনি। এ বারে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পালে হাওয়া আনতে চাইছেন অমিত তথা বিজেপি নেতৃত্ব। তাই তিনি এসে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
আট জেলার আট সভাপতি, তিন জন সাধারণ সম্পাদক, পর্যবেক্ষক, বিধানসভার আহ্বায়ক, বিধায়ক ও সাংসদের নিয়ে হবে আসন্ন বৈঠক। এর বাইরে সাংসদদের এলাকাভিত্তিক তালিকা ধরে বাসিন্দা, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক হতে পারে। নমঃশুদ্র, রাজবংশী, আদিবাসী, গোর্খাদের সঙ্গেও অমিত শাহের বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। জেপি নড্ডাও তা করবেন কি না, চূড়ান্ত হয়নি। তবে তৃণমূলের কোন কোন নেতাকে দলে নিলে সুবিধে হবে, তা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বগুলির কাছে। কারা বিজেপিতে আসার বিষয়ে নিমরাজি, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। নভেম্বরে তৃণমূলে ভাঙন হলে কারা উত্তরবঙ্গে দল বদল করতে পারেন, সেই তালিকাও তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। বিধানসভাভিত্তিক সাংগঠনিক বৈঠকের বাইরে আলাদা বৈঠকে এসব আলোচনা হবে।
দলের উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি নেতার কথায়, পাহাড়, সমতলে সর্বত্র বিজেপির পালে হাওয়া রয়েছে। তা লোকসভার ভোটবাক্সে ঢোকাতে হবে। সেখানে নিজেদের নেতানেত্রী, তৃণমূল থেকে আসা লোকজন এবং বিভিন্ন জনজাতির সাহায্য লাগতেই পারে।