এই পার্কেই আসতে চলেছে আরও বন্যপ্রাণী। —নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবনে পর্যটকদের কাছে অন্যতম মূল আকর্ষণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলা। তবে সে ভাগ্য সকলের হয় না। অনেক সময়ে আবার বাঘ ছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রাণের দেখাও সে ভাবে মেলে না। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এ বার সুন্দরবনের ঝড়খালি ওয়াইল্ড অ্যানিমেল পার্কে আরও কিছু বন্যপ্রাণী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
আগে থেকেই এখানে তিনটি বাঘ, কুমির ও হরিণ রাখা হয়েছে পর্যটকদের দেখার জন্য। এ বার দু’টি বিশালা পাখির খাঁচা (এভিয়ারি) তৈরি করা হচ্ছে। যার একটিতে থাকবে সুন্দরবনের জলজ পাখি এবং অন্যটিতে থাকবে নানা ধরনের জংলি পাখি। তিন প্রজাতির বিড়ালের জন্যও তিনটি আলাদা আলাদা খাঁচা তৈরি করছে বন দফতর। যার একটিতে থাকবে মেছো বিড়াল (ফিসিং ক্যাট), একটিতে থাকবে বন বিড়াল (জঙ্গল ক্যাট) আর একটিতে থাকবে বাঘরোল (লেপার্ড ক্যাট)। এ ছাড়া, সরীসৃপের ঘর বা রেপটাইল হাউসও তৈরি হচ্ছে। যেখানে সুন্দরবন এলাকার সাপেদের রাখা হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সমস্ত বন্যপ্রাণী ঝড়খালিতে চলে আসবে বলে জানানো হয়েছে বন দফতরের তরফে।
বন দফতর সূত্রের খবর, আগামী শীতের পর্যটন মরসুমের আগেই প্রাণীগুলি ঝড়খালিতে এসে যাবে। ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘পর্যটকদের কাছে ঝড়খালিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এই উদ্যোগ। সুন্দরবন ভ্রমণে এসে যাঁরা সে ভাবে বন্যপ্রাণের দেখতে পান না, তাঁদের চাহিদা ঝড়খালির এই পার্ক অনেকটাই পূরণ করবে। আগামী দিনে আরও অনেক কিছু পরিকল্পনা রয়েছে ঝড়খালিকে ঘিরে।’’
বন দফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের মধ্যে সুদর্শন জানা, রুদ্র সামন্তেরা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগের জন্য বন দফতরকে ধন্যবাদ। এর ফলে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে।’’ স্থানীয় ব্যবসায়ী মলিনা জানা, তপতী মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘ঝড়খালিতে সারা বছরই অল্পবিস্তর পর্যটক আসেন। এখানে নানা ধরনের জিনিস, খাবার বিক্রি করেই আমাদের সংসার চলে। এই পার্কে আরও বেশি পশুপাখি এলে আরও পর্যটকেরা বেশি বেশি করে আসবেন। আমাদের ব্যবসা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’’