বামেদের ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ করতে অটো চালকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএনটিটিইউসি-র বিরুদ্ধে। ক্যানিং বাজারের এই ঘটনা ছাড়া অবশ্য সোমবার বামেদের ডাকা ধর্মঘটে দুই ২৪ পরগনার জনজীবন ছিল মোটের উপরে স্বাভাবিক। দুই জেলাতেই ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি বললেই চলে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের প্রতিবাদে বামেদের ডাকা সোমবারের ধর্মঘটের বিরোধিতা করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাস্তায় থেকে ধর্মঘটের বিরোধিতা করবেন। সেই মতো সোমবার ভোর থেকেই ক্যানিং বাজার-সহ দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করে তৃণমূল। বামেদের অভিযোগ, ক্যানিং বাজারে সব দোকান খুলে রাখার জন্য হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। এ দিন ক্যানিং বাজারের ক্যানিং-বারুইপুর অটো রুটে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দেয় আইএনটিটিইউসি। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘অটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হইতেছে, আজ যে গাড়ি চালাইবে না, এক মাস তার গাড়ি বন্ধ থাকবে।’’ নোটিসে নীচে লেখা ছিল, ‘‘আদেশানুসারে আইএনটিটিইউসি কর্তৃপক্ষ।’’
বিরোধীদের অভিযোগ, ক্যানিং মহকুমার অনেক এলাকায় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হল অটো। তাই বেছে বেছে অটো রুটগুলিতেই ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে। বাসন্তীর প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী আরএসপি নেতা সুভাষ নস্করের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে।’’
ক্যানিং-বারুইপুর অটো রুটের আইএনটিটিইউসি ইউনিয়নের সভাপতি বুলু মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘কেউ বছরের সব দিন রুটে অটো চালাবে কিন্তু ধর্মঘটের দিন পরিষেবা দেবে না, এটা হতে পারে না। তাই অটো চালকেরা নিজেদের উদ্যোগেই ওই নোটিস দিয়েছেন। তবে এ দিন অবশ্য আমাদের রুটের সব অটো চালক রুটে ছিলেন।’’ ক্যানিং-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা পরেশরাম দাসের দাবি, ‘‘আমরা কোনও ব্যবসায়ীকে হুমকি দিইনি। মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবেই কাজে বেরিয়েছেন।’’
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের চটকলে হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। অফিসে হাজিরা প্রায় অন্য দিনের মতোই। ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। বনগাঁ, বারাসত, বসিরহাট মহকুমাতেও জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। স্কুল, কলেজ খোলা ছিল। কাকদ্বীপে রবিবার সন্ধ্যায় ধর্মঘটের সমর্থনে বাম দলগুলি মিছিল বের করলেও সোমবার এই মহকুমাতেও সে রকম প্রভাব পড়েনি। ডায়মন্ড হারবারেও পরিস্থিতি ছিল অন্য দিনের মতোই।