—প্রতীকী চিত্র।
দিন কয়েক আগেই বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের মিছিল ও সভা ঘিরে বনগাঁয় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। ওই কর্মসূচিতে বিজেপির কয়েক জন বিধায়ক এবং দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দু'জন প্রাক্তন জেলা সভাপতি উপস্থিত থাকলেও দেখা মেলেনি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের। ওই কর্মসূচিতে আদৌ তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
এ বার দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পুজো উদ্বোধন ঘিরেও বিজেপির কোন্দল দেখা গেল।
মঙ্গলবার রাতে সুকান্ত এসেছিলেন বনগাঁ শহরে মতিগঞ্জ এলাকায় ঐক্য সম্মেলনী ক্লাবের দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করতে। এই ক্লাবের পুজো বনগাঁ শহরের বড় পুজোগুলির মধ্যে একটি। এ বার পুজোর ৫৭ বছর। থিম, সেভ দ্য বার্ড। মণ্ডপের চারদিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাট আউট লাগানো হয়েছে।
এই পুজোর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত দেবদাস। শহরের মানুষের কাছে ‘দেবদাসের দুর্গা পুজো’ আর ঐক্য সম্মিলনীর পুজো সমার্থক। সুকান্ত ছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবদাস, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমা ঠাকুর। মুম্বই থেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতি ছিল শান্তনু ঠাকুরের। যদিও দেখা যায়নি, বনগাঁ শহরের বাসিন্দা তথা বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এবং বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের। এ ছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি রামপদ দাস। দিন কয়েক আগে মিছিল এবং সভায় অবশ্য অশোক, স্বপন এবং রামপদেরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, ক্লাবের পুজো উদ্বোধন হলেও সেই পুজোর সঙ্গে যখন জেলা সভাপতি জড়িত বা উদ্বোধন করতে দলের রাজ্য সভাপতি আসছেন, সেখানে স্থানীয় বিধায়কদের উপস্থিত থাকাটাই দস্তুর। এ দিনের পুজো উদ্বোধনে না থাকা নিয়ে স্বপন বলেন, "আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে ফোন করে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু আমি নেই। কলকাতায় রয়েছি। তাই যেতে পারিনি।" অশোকের কথায়, "এ দিনের পুজো উদ্বোধন বা সুকান্ত মজুমদারের আসার বিষয়টি আমার জানা ছিল না।"
বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে কী বলছেন দেবদাস? তাঁর কথায়, "আমন্ত্রণ করাটা ক্লাবের বিষয়। তবে বিধায়কদের ক্লাবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল।’’ উদ্বোধনে এসে সুকান্ত বলেন, "মায়ের কাছে কামনা করলাম, তিনি যেমন অসুর বধ করেছিলেন, বাংলায় তেমনই অসুর বধ হওয়া দরকার। বাংলায় অসুরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। মা তো আর অসুর বধ করতে আসবেন না। আমাদের শক্তি দিন, আমরাই বধ করব।"