বনগাঁয় বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের বৈঠকে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। — নিজস্ব চিত্র।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি। এ বার দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রভাব এসে পড়ল বিজেপির উদ্বাস্তু শাখার বৈঠকেও। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় আয়োজিত সেই বৈঠকে গরহাজির স্বয়ং জেলা সভাপতি। ছিলেন না সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরাও। প্রত্যাশিত ভাবেই গেরুয়া শিবির অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি। বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর একটি লজে বিজেপির উদ্বাস্ত সেলের বৈঠক ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, প্রাক্তন জেলা বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস, মনস্পতি দেব প্রমুখ। এ ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের দাবি, আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির লড়াই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার ও অশোক কীর্তনিয়ার দাবি, বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। পায়ের তলায় মাটি হারালে যা হয়। উদ্বাস্তু সেলের বৈঠকে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। আর ঢাকাচাপা দিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এ ভাবে তৃণমূলকে ঠেকাবে! আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে ৪২-০ ফলে হারবে বিজেপি।’’
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব অবশ্য মানতে নারাজ বিজেপি। বৈঠকে গরহাজির থাকা জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ওই বৈঠক উদ্বাস্তু সেলের। সেখানে বিধায়কেরা উপস্থিত আছেন। সব বৈঠকে জেলা সভাপতিকে উপস্থিত থাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই।’’