বিজেপির বৈঠকে দুই গোষ্ঠীর মারপিট ডায়মন্ড হারবারে। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে বেআব্রু বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনেই চলল মারপিট। রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই, টিফিন নিয়ে গোলমাল, সাফাই জেলা সহ-সভাপতির।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার বসেছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির কার্যকারিণী বৈঠক। তাতে সুকান্তের পাশাপাশি হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়ও। কার্যত তাঁদের সামনেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপিরই দুই গোষ্ঠী। দেদারে চলে কিল, চড়, ঘুষি।
প্রকাশ্যে মারামারি চললেও তা স্বীকার করতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটুর দাবি, মারামারি হয়নি। টিফিন নিয়ে গোলমাল হয়েছে, তাতে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ কিছুই নয়। রাতে সবাই খাটাখাটনি করেছে। টিফিন নিয়ে ঝামেলা। পলিটিক্যাল কোনও বিষয় নেই।’’ প্রথমে রাজনীতি নেই বলে দাবি করলেও কথা বলতে বলতেই সুর বদলে যায় নেতার। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল পিছন থেকে হয়তো মজা দেখার চেষ্টা করছে। ওরাই কিছু লোকজন দিয়ে হয়তো করছে। পার্টির মধ্যে কোনও ব্যাপার নেই। মারপিট হয়নি তো!’’
যদিও অভিযোগ, বৈঠক উপলক্ষে পতাকা লাগাচ্ছিলেন বিজেপির এক গোষ্ঠীর লোকজন। অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা এসে তাঁদের বাধা দেন। তার পরেই দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি বেঁধে যায়। এ নিয়ে সুকান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি তার কোনও জবাব দেননি। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে মারামারির কথা অস্বীকারও করেননি। যদিও সংবাদমাধ্যমকে সুকান্তের পরামর্শ, ‘‘আমরা আছি তো। আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। মিডিয়ার লোকজনকে চিন্তা করতে হবে না।’’
শনিবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বৈঠক ছিল কেশপুরে। একই দিনে তাঁর কেন্দ্রে বিজেপির বৈঠকে মারামারির এমন দৃশ্য! পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেখানে সাংগঠনিক শক্তিকে সুসংহত করার মরিয়া চেষ্টায় সব রাজনৈতিক দল, সেখানে ডায়মন্ড হারবারের মতো রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিজেপির এমন গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ায় স্বভাবতই অস্বস্তি গোপন করতে পারছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা।