সুন্দরবন এলাকায় প্লাস্টিকের দূষণ রুখতে উদ্যোগ

বন দফতর সূত্রের খবর, এখন সারা বছরই সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পর্যটকেরা অনেকেই প্লাস্টিক, থার্মোকল-সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করেন। ফলে দূষিত হয় পরিবেশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুন্দরবন  শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১৩:৪৭
Share:

ভোটের আগে বন দফতরের এমন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনেরনির্দেশকেও মান্যতা দিচ্ছে।

সুন্দরবনকে দূষণমুক্ত করতে, প্লাস্টিক, থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করতে উদ্যোগ করল বন দফতর।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বাসন্তীর ঝড়খালিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের নির্দেশে মাতলা ২ রেঞ্জ অফিসের উদ্যোগে এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণলাল, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরেরফিল্ড ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মল্লিক, সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের জয়েন্ট ডিরেক্টর কুলাইন বেল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও সন্তোষা জিআর, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান।

বন দফতর সূত্রের খবর, এখন সারা বছরই সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পর্যটকেরা অনেকেই প্লাস্টিক, থার্মোকল-সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করেন। ফলে দূষিত হয় পরিবেশ। বেশ কয়েকবছর আগে নদীতে জল খেতে গিয়ে প্লাস্টিক পেটে ঢুকে মৃত্যু হয়েছিল একটি হরিণের।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ম্যানগ্রোভ জঙ্গল, নদীতে ফেলা হচ্ছে প্লাস্টিক, থার্মোকল সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস। ফলে জঙ্গল, নদীর জলও দূষিত হচ্ছে। এ জন্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটক, পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজেরছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এ দিন ওই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের অধীন বকখালি, পাথরপ্রতিমা, নামখানা ব্লকেও এ ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এ বার জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, পরিবেশবান্ধব নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

নির্বাচনী কাজে কোনও ধরনের প্লাস্টিকের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনের উপরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ভোটের আগে বন দফতরের এমন উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনেরনির্দেশকেও মান্যতা দিচ্ছে। বন দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের কাজে যতটা সম্ভব প্লাস্টিক ও থার্মোকল ব্যবহারে এড়িয়ে যাওয়ার আবেদন করেছেন। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের কাছেপরিবেশবান্ধব পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছেন কর্তারা।’’ ডিএফও বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই এ ধরনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করতে সমস্ত স্তরেরমানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন। আমার সেই বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement