সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি ঠেকাতে উদ্যোগ পুরসভার

 সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজে দুর্নীতি ঠেকাতে অভিনব পদক্ষেপ করল গোবরডাঙা পুরসভা। বাড়ি তৈরির খুঁটিনাটি তথ্যের তালিকা তারা তুলে দিচ্ছে উপভোক্তাদের হাতে। যাতে উপভোক্তারা নিজেরাই দেখেশুনে বাড়ি তৈরি করাতে পারেন। পুরসভার এমন সিদ্ধান্তে খুশি উপভোক্তারা।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির কাজে দুর্নীতি ঠেকাতে অভিনব পদক্ষেপ করল গোবরডাঙা পুরসভা। বাড়ি তৈরির খুঁটিনাটি তথ্যের তালিকা তারা তুলে দিচ্ছে উপভোক্তাদের হাতে। যাতে উপভোক্তারা নিজেরাই দেখেশুনে বাড়ি তৈরি করাতে পারেন। পুরসভার এমন সিদ্ধান্তে খুশি উপভোক্তারা।

Advertisement

পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘নিজেদের বাড়ি তৈরির সময় আমরা যেমন যত্ন নিয়ে থাকি, গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও সেই যত্ন নেওয়া উচিত। আশা করি, এর ফলে বাড়ি তৈরির কাজে কোনও খামতি থাকবে না।’’ বাড়ি তৈরি নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে পুরসভার হেল্পলাইন নম্বরে তা জানাতে পারেন বলেও সুভাষবাবু জানান।

পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে ‘সকলের জন্য বাড়ি’ (হাউজ ফর অল) প্রকল্পে ১১২০টি বাড়ির কাজ হয়েছে। একটি বাড়ি তৈরি করতে খরচ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে টাকা দিচ্ছে। উপভোক্তাকে দিতে হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। তা ছাড়া, বাড়ির আশপাশে আলো, নিকাশি, সৌন্দর্যায়নের মতো পরিকাঠামো পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে তৈরি করে দিচ্ছে। কাজ শুরুর আগে উপভোক্তাদের ডেকে বৈঠক করা হয়। সেখানে বাড়ি তৈরির যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্যের একটি তালিকা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যাতে বাড়ি ঠিকঠাক নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা, তা উপভোক্তারা নিজেরাই দেখেশুনে নিতে পারেন।

Advertisement

উপভোক্তারা জানান, ওই তালিকা হাতে পাওয়ায় অনেক কিছু জানা গিয়েছে। বাড়ির মাপ, উচ্চতা, ক’টি ঘর-বারান্দা, দরজা-জানালা থাকবে— সবই দেওয়া ছিল ওই তালিকায়। এমনকী, কোন সংস্থার সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করা হবে তা জানা গিয়েছে। ঢালাই করার সময় কতটা সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে তা-ও জানানো হয়েছে। ঠিকাদার ওই তালিকা মেনে কাজ করছেন কিনা, সেটাও দেখে নেওয়া গিয়েছে।

দিনকয়েক আগে উপভোক্তাদের হাতে তাঁদের বাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৩০ জনের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ওই উপভোক্তাদেরও ডেকে একই কাজ করছে পুরসভা। উপভোক্তারা জানান, অনেক সময় সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির মালপত্রের গুণমান এবং যথাযথ নিয়ম মানা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কিন্তু এখানে তাঁরা নিজেরাই সব দেখে শুনে নিতে পেরেছেন।

প্রথম পর্যায়ে নতুন বাড়ির চাবি পেয়েছেন গোবরডাঙা বাজার এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ সাহা। তাঁর একটি ছোট পানের দোকান আছে। নিত্যানন্দবাবু বলেন, ‘‘আমার বাড়ি আমি নিজেই দেখেশুনে নিয়েছি। নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি হয়েছে। পুরসভার বাস্তুকারেরাও সহযোগিতা করেছেন।’’

একই রকম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আরও অনেক উপভোক্তা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement