Coronavirus

আক্রান্ত বেড়ে চলেছে, হাসপাতাল চান মানুষ 

করোনা পরিস্থিতিতে কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাস। এই সময়ের মধ্যে করোনার-চিকিৎসার পরিকাঠামো কতটা গুছিয়ে নিতে পেরেছে মহকুমার হাসপাতালগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজার। জেলার সব প্রান্ত থেকেই কোভিড রোগীদের এখানে পাঠানো হয়। বারাসত মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ এবং জনহবহুল এলাকা হাবড়া অশোকনগর এবং গোবরডাঙা।

Advertisement

সুপ্রকাশ মণ্ডল ও সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

আক্রান্তের তালিকায় জেলায় ব্যারাকপুরের পরেই রয়েছে বারাসত মহকুমা। আক্রান্তের সংখ্যা ২১০০ ছাড়িয়েছে রবিবার। মৃতের সংখ্যাতেও জেলায় দ্বিতীয় স্থানে বারাসত। ইতিমধ্যে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। জেলাতে বারাসতেই রয়েছে দু’টি পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল। একটি গত এপ্রিলেই চালু হয়েছিল। দু’টিই বেসরকারি হাসপাতাল। মহকুমা নয়, জেলা কোভিড হাসপাতাল হিসেবেই সেগুলির পরিচিতি।

Advertisement

জেলার সব প্রান্ত থেকেই কোভিড রোগীদের এখানে পাঠানো হয়। বারাসত মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ এবং জনহবহুল এলাকা হাবড়া অশোকনগর এবং গোবরডাঙা। এই এলাকাগুলিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। রোজই নতুন নতুন এলাকায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। সোমবার পর্যন্ত ওই তিনটি থানা এলাকায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জন আক্রান্তের। পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরার পরে এলাকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল। প্রথম দিকে আক্রান্তদের প্রায় সকলেরই কলকাতা-যোগ ছিল। পরে স্থানীয় স্তরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ এই বিস্তীর্ণ এলাকায় কোনও কোভিড হাসপাতাল নেই।

ওই তিনটি থানা এলাকার মধ্যে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮০ জন। মারা গিয়েছেন ২ জন। অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পুরপ্রশাসক প্রবোধ সরকার বলেন, “কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও নিয়ে কোনও সরকারি নোটিফিকেশন এখনও হয়নি।”

Advertisement

হাবড়া পুর এলাকায় সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ করোনা-আক্রান্তের। হাবড়া শহরে এখনও পর্যন্ত কোনও সেফ হোম হয়নি। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস বলেন, “বাণীপুরে ৫০ শয্যার সেফ হোম তৈরির কাজ চলছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তা চালু হয়ে যাবে।” হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চালু হয়েছে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। হাবড়া ১ ব্লক এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। মারা গিয়েছেন ৩ জন করোনা আক্রান্ত। হাবড়া ২ ব্লক এলাকায় মোট আক্রান্ত ৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে এক জনের।

গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহারের দাবি উঠেছে এলাকায়। গোবরডাঙায় এখনও লালারস সংগ্রহের কোনও ব্যবস্থা নেই। এখানকার মানুষকে লালারস দিতে বাউগাছি এলাকায় মছলন্দপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে এবং হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। অভিযোগ, অনেক সময়েই লালারস দিতে একাধিক বার যেতে হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত গোবরডাঙা পুরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ জন। এখানে একটি সেফ হোম থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনও রোগী ভর্তি হননি।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement