Bangaon Bagda Railway

মুখ্যমন্ত্রী জমি দিলেই বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরি হবে, দাবি সাংসদের

এরই মধ্যে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে থমকে থাকা ৬১টি রেল প্রকল্পের জন্য জমি জোগাড়ের কথা বলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩১
Share:

বনগাঁ থেকে চাঁদাবাজার পর্যন্ত রেলপথের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত এই বনগাঁ-বাগদা সড়কই ভরসা মানুষের। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

দীর্ঘ দিন ধরে বাগদা থেকে বনগাঁ পর্যন্ত রেলপথের দাবি জানিয়ে আসছেন সীমান্ত-লাগোয়া বাগদার মানুষ। অভিযোগ, রেলপথ তৈরি নিয়ে বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রেলমন্ত্রীর একটি চিঠির দৌলতে ফের চর্চায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বনগাঁ-বাগদা রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় সে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গত বছর বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর রেলের একটি অনুষ্ঠানে জানান, বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ অনুমোদন হয়েছে। তবে অভিযোগ, তারপরেও কাজ এগোয়নি কিছুই।

এরই মধ্যে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে থমকে থাকা ৬১টি রেল প্রকল্পের জন্য জমি জোগাড়ের কথা বলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে দুই পর্যায়ে বনগাঁ-বাগদা রেলপথের উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বনগাঁ থেকে চাঁদাবাজার পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজার থেকে বাগদা পর্যন্ত ১৩.৮৬ কিলোমিটার রেলপথ হওয়ার কথা। শান্তনু বলেন, “রেলমন্ত্রীর দেওয়া চিঠিতে বনগাঁ-বাগদা রেলপথের উল্লেখ রয়েছে। এই রেলপথ তৈরির জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করেছে রেলমন্ত্রক। এখন মুখ্যমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই আমরা কাজটা দ্রুত শুরু করতে পারব।”

Advertisement

বনগাঁ-বাগদা রেলপথের জন্য অর্থ অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বাগদার বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে বনগাঁ-বাগদা রেলপথের ঘোষণা করেন। তারপরে আর কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে এগোয়নি। লোকসভা ভোটের পরে শান্তনুও রেলপথ তৈরি করতে পদক্ষেপ করেননি। এত দিন তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। এখন ভোটের আগে বনগাঁ-বাগদা রেলপথ নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছেন।”

বাগদার মানুষ অবশ্য চাইছেন, দ্রুত রেলপথ তৈরি হোক। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলে তাঁরা জমি দিতে রাজি বলে জানান এলাকার অনেক চাষি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আদালত, হাসপাতাল, মহকুমাশাসকের দফতর সবই বনগাঁ শহরে। ফলে বাগদা ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষকে নানা প্রয়োজনে নিয়মিত বনগাঁয় আসতে হয়৷ সড়কপথে বাস-অটোর উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয় তাঁদের৷ জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি ভাড়া করেও যেতে হয়। যাতায়াতের খরচ এবং সময় লাগে বেশি।

কলকাতা যাওয়ার জন্যও বনগাঁয় এসে ট্রেন ধরতে হয় অনেককে। রেলপথ চালু হলে সব সমস্যা মিটবে বলেই মত এলাকার মানুষের। তা ছাড়া, বাগদার আনাজ বিখ্যাত। ভিন্ রাজ্যে ও জেলার অন্যত্র আনাজ যায়। ট্রেন চালু হলে আনাজের
পরিবহণ খরচও কমবে বলে জানান চাষিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement