এই নির্মাণ নিয়েই উঠছে অভিযোগ। ছবি: সামসুল হুদা ।
মাঝে কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিল। ফের শুরু হয়েছে সেচ দফতরের জায়গা জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ।
এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভাঙড়ের কাটাখালের পাশে পাঁচগাছিয়া ও চিলেতলার মাঝামাঝি এলাকায় পাল পাড়ায় জলাজমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ গড়ে তোলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, ভাঙড়ের এক প্রভাবশালী জমির কারবারি সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে সরকারি জায়গা জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীরা ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
মাস কয়েক আগেও ওই এলাকায় সরকারি জমিতে জোর করে কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন এক তৃণমূল নেতা। পরে সেচ দফতর থেকে ব্লক প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়। তারপরেই গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই এলাকায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মাস কয়েক প্রশাসনের চাপে কাজ বন্ধ থাকার পরে ফের ওই বেআইনি কাজ শুরু হয়েছে। পাঁচগাছিয়া পালপাড়া এলাকায় সেচ দফতরের প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে। উত্তর কাঁঠালিয়া মৌজার জেএল নম্বর প্লটের ৩৫৩০, ৩৫৫১ ও ৩৫৫২ দাগের জমি অবৈধ ভাবে জবর দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, জলাভূমি রাতারাতি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্লক প্রশাসন, সেচ দফতর ও থানাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কানাই পাল, লক্ষ্মী পালেরা বলেন, ‘‘এলাকার কিছু প্রভাবশালী জমির কারবারি এ ভাবে রাতারাতি সরকারি জমি জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ করছে। প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। কী ভাবে এটা সম্ভব হল, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, ‘‘পাঁচগাছিয়া এলাকায় খালপাড়ের সরকারি জমির রাতারাতি দখল হয়ে যাচ্ছে শাসক দলের কিছু নেতার মদতে। অবিলম্বে কাজ বন্ধ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন নামব।’’
এ বিষয়ে ভোগালি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সোমা মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। সরকারি জমি এ ভাবে জবরদখল করা বেআইনি। প্রশাসনকে বলব, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’’ ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দোপাধ্যায় জানান, এমন কোনও অভিযোগ এখনও হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে সেচ দফতরকে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।