প্রতীকী ছবি।
সাংসারিক অশান্তি। বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, সেই আক্রোশে স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা চালাল স্বামী।
অশোকনগর থানা এলাকার ওই অ্যাসিড হামলার ঘটনায় পুলিশ বুধবার অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, সে কোথা থেকে অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হবে। বিচারকের কাছে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। আক্রান্ত যুবতী হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অ্যাসিড হামলায় তাঁর হাতের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের বাসিন্দা বছর বত্রিশের ওই যুবতীর সঙ্গে বছর দুই বিয়ে হয়েছিল অভিযুক্তের। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে ওই মহিলার উপর নির্যাতন করা হত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওই যুবতী বাপের বাড়ি চলে যান। কাজ শুরু করেন স্থানীয় একটি পোশাক তৈরির কারখানায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, রোজ সকালে সাইকেল করে কারখানায় যান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় দিলীপ বাইকে করে এসে স্ত্রীর পথ আটকায়। সাইকেল থেকে স্ত্রীকে নামিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে সে অ্যাসিড ছোড়ে। মহিলার ছুটে একটি বাড়িতে ঢুকে যান। জখম অবস্থায় সেখানেই পড়ে যান তিনি। বাসিন্দারা তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
আক্রান্তের বাবা বলেন, ‘‘মেয়ের স্বামীর আগে বিয়ে ছিল জানতাম। একটি ছেলেও আছে। কিন্তু তার আরও একটি মেয়ে রয়েছে সেটা আমরা বিয়ের আগে জানতাম না। বিয়ের পর জামাইকে দেড় লক্ষ টাকাও দিয়েছিলাম। তারপরও নির্যাতন করা হত।’’ আক্রান্তের শ্বশুরবাড়ির অবশ্য বক্তব্য, বৌমার উপর কোনও অত্যাচার হত না। স্বেচ্ছায় বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল সে।
পুলিশ অবশ্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত কী ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করেছিল তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা। অ্যাসিড হামলা নিয়ে সচেতনতা প্রচারে খামতি নেই। তবু থামানো যাচ্ছে না এ ধরনের ঘটনা। তাই তদন্তকারীরা দেখছেন, অভিযুক্ত স্থানীয় ভাবে অ্যাসিড কিনেছিল নাকি অন্য কোনও জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করেছিল।