—প্রতীকী চিত্র।
মাস দেড়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল বছর আঠারোর তরুণীর। শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার নাম বিলকিস লস্কর। বারুইপুরের ধপধপি এলাকার ঘটনা। বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত স্বামীর নাম রোহন মণ্ডল। শ্বশুরের নাম রাকিবুল মণ্ডল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলকিসের বাড়ি ধপধপির মাঝেরপাড়ায়। কয়েক মাস আগে ধপধপির পদ্মজোলা এলাকার বাসিন্দা রোহনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তরুণীর। অগস্ট মাসে তাঁদের বিয়েও হয়। বিলকিসের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিলকিসের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা আনার জন্যও চাপ দেওয়া হত। বিলকিসের পরিবার জানায়, ঘর মেরামতির কথা বলে টাকা চাওয়া হত। বাধ্য হয়ে দিনকয়েক আগে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও মেয়ের উপরে অত্যাচার কমেনি।
তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছেন বলে শুক্রবার রাতে খবর পান বিলকিসের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, বিলকিসকে শ্বাসরোধ করে মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বধূর শ্বশুরবাড়ির দাবি, বিলকিস আত্মহত্যা করেছেন। বারুইপুর থানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন বিলকিসের পরিজনেরা। এর পরেই পুলিশ রোহন ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করে।
বিলকিসের আত্মীয় সামসুদ্দিন গাজি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা এক লক্ষ টাকা দিই। তার পরেও মেয়েটাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।” আর এক আত্মীয় জাকির লস্কর বলেন, “বিলকিসকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে বিষয়টা। দু’জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।