খালি মাথায় দেখলেই হেলমেট কেনাচ্ছে পুলিশ

মোটরবাইকের পিছনে স্ত্রী ও ছেলেকে বসিয়ে বনগাঁ-চাকদহ রোড দিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। নিজের মাথায় হেলমেট থাকলেও স্ত্রী-ছেলের মাথা ছিল খালি।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

আবরণ: হেলমেট ধরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

মোটরবাইকের পিছনে স্ত্রী ও ছেলেকে বসিয়ে বনগাঁ-চাকদহ রোড দিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। নিজের মাথায় হেলমেট থাকলেও স্ত্রী-ছেলের মাথা ছিল খালি।

Advertisement

দেখে বাইক দাঁড় করান বনগাঁর ট্রাফিক ওসি গৌতম দাস। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার্সকে ডেকে দু’টি হেলমেট কিনে আনান। হেলমেট এলে সেগুলি ওই যুবকের স্ত্রী ও ছেলের মাথায় পরিয়ে দেন। তারপর রসিদ দেখিয়ে যুবকের কাছ দু’টি হেলমেটের দাম নেন।

রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গার মতো বনগাঁতেও ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফে’র প্রচার চলছে জোরকদমে। ওই এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালানোর প্রথম শাস্তি হল, পুলিশের সামনেই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হেলমেট কেনা। এই টোটকায় কাজও হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, হেলমেটহীন যাত্রীদের বলে দেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় বার ধরা পড়লে কিন্তু আরও কড়া শাস্তি পেতে হবে।

Advertisement

পথ দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের লাগাতার প্রচারের পরেও বনগাঁ মহকুমায় হেলমেট না চালিয়ে মোটরবাইক চালানোর প্রবণতা সে ভাবে কমেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এমনকী, পুলিশ কর্মীরাও মাঝে মধ্যে হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালাতে গিয়ে ধরা পড়েন। তারপরে পুলিশের কথা শুনে তখনকার মতো ক্ষমা চাইলেও তাঁরা পরে ফের হেলমেট পরতে ভুলে যান। অনেকে আবার হেলমেট না পরার জন্য নানা অজুহাত দেখান। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বনগাঁ থানার পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিন হেলমেটের মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট কেনানোর ভাবনা মাথায় আসে।

বনগাঁর ট্রাফিক ওসির এই ভূমিকায় খুশি পুলিশ কর্তারা। এসডিপিও অনিল রায় বলেন, ‘‘ট্রাফিক ওসি ভাল পদক্ষেপ করেছেন। আমাদের উদ্দেশ্য, সব মোটরবাইক চালককে হেলমেট পরানো। কিন্তু শুধু আইন দিয়ে সেটা পুরোপুরি সম্ভব নয়। মানুষকে নিজেও সচেতন হতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement