ঘোলায় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম বিপ্লব চক্রবর্তী (৪৫) ও শিপ্রা চক্রবর্তী (৩৭)। তাঁদের ১৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিপ্লববাবু বিধাননগরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শোয়ার ঘর থেকে দু’জনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঘোলার ইন্দ্রলোক এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম বিপ্লব চক্রবর্তী (৪৫) ও শিপ্রা চক্রবর্তী (৩৭)। তাঁদের ১৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিপ্লববাবু বিধাননগরে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। এই ঘটনায় দু’জনেই নিজে থেকে গলায় ফাঁস দিয়েছেন, না কি এক জনকে খুন করে দ্বিতীয় জন আত্মাঘাতী হয়েছেন, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ইন্দ্রলোক এলাকার একটি বাড়িতে দেড় বছর ধরে ভাড়া ছিলেন বিপ্লববাবুরা। দম্পতির মেয়ে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে সে পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিল। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে সে বাবা-মায়ের সাড়াশব্দ পায়নি। ওই কিশোরী দেখে তাঁদের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এর পরে সে ওই ঘরের পিছন দিকের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে বিপ্লববাবু ও শিপ্রাদেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তার চেঁচামেচিতে চলে আসেন প্রতিবেশীরাও।

Advertisement

বাড়িওয়ালা সুব্রত দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি জেনে ঘোলা থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে ঘরে ঢুকে দেহ দু’টি উদ্ধার করে। শুক্রবার রাতেও ওই দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু কিছু বুঝতে পারিনি।’’ পুলিশ জানায়, ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলেন বিপ্লব। আর জানলা থেকে কুকুর বাঁধার বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল শিপ্রার দেহ।

বিপ্লবের বোন কাকলি দাস বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই দাদা-বৌদির মধ্যে অশান্তি চলছিল। দেড় বছর ধরে দাদার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ ছিল না।’’ ওই ব্যক্তির ভাগ্নে তন্ময় দাস জানান, তাঁর মামার বাড়ি ছিল খড়দহের রবীন্দ্রপল্লিতে। দম্পতির আত্মীয়েরা জানান, কয়েক বছর আগে একটি গোলমালে জড়িয়ে পড়ে শিপ্রাদেবী বেশ কিছু দিন জেলে ছিলেন। জেল থেকে বাড়ি ফেরার পরে এলাকাবাসীদের আপত্তিতে বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হন বিপ্লব। কয়েক দিন আগে বোনেদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছিলেন বিপ্লববাবু। কী থেকে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement