সম্প্রীতির ছবি হাবড়ার গ্রামে

কল্যাণ সিংহ, অয়ন পান্ডে, জয়দেব পাল, ফয়জলউদ্দিন মণ্ডল, আলি মোড়ল, মনা শেখরা এ ক’দিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে যান।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

হাবড়া শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৫
Share:

মিলেমিশে: কাজে ব্যস্ত সালতিয়ার বাসিন্দারা। ছবি: সুজিত দুয়ারি

কালীপুজো উপলক্ষে ব্যস্ততা বাড়ে এ গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষেরও। পুজোর নানা কাজের দায়িত্ব নেন তাঁরাও।

Advertisement

কল্যাণ সিংহ, অয়ন পান্ডে, জয়দেব পাল, ফয়জলউদ্দিন মণ্ডল, আলি মোড়ল, মনা শেখরা এ ক’দিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে যান। গ্রামের কালীপুজোয় চাঁদা তোলা, প্রতিমা আনা, খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন, প্রতিমা বিসর্জন— সব কাজেই সামনের সারিতে থাকেন তাঁরা।

৪৯ বছর ধরে স্থানীয় একটি কালী মন্দিরকে ঘিরে এ ভাবেই পুজোয় মেতে ওঠেন হাবড়া থানার সালতিয়া এলাকার ৩২ নম্বর রেলগেট পালপাড়ার দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন। পুজোর সঙ্গে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কালী প্রতিমা এখানে এক বছর রেখে দেওয়া হয়। পরের বার পুজোর আগে বিসর্জন দেওয়া হয়। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পর্কের ভিত এখানে বহু দিন ধরেই মজবুত। যে কোনও সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও সকলকে এক সঙ্গে দেখা যায়। বিপদে-আপদে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকেন সকলে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, কেবল পুজো বা ইদ নয়, রাতে অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে, কারও বিয়ের আয়োজন— সব কাজই যৌথ ভাবে করেন তাঁরা।

Advertisement

বাদুড়িয়া এখান থেকে খুব দূরে নয়। সাম্প্রতিক অতীতে বাদুড়িয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও তার আঁচ এখানে পড়তে দেননি পালপাড়ার মানুষ। ফয়জল বলেন, ‘‘ইদে আমাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসেন হিন্দুরা।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, মাঘ মাসে এলাকায় কীর্তনের আসর বসে। সেখানে মুসলিমরা সক্রিয় সহযোগিতা করেন। পুজো কমিটির সম্পাদক কল্যাণ সিংহের কথায়, ‘‘এখানে হিন্দু-মুসলিম আলাদা নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement