Dengue

থার্মোকলের থালা-বাটি, প্লাস্টিক বন্ধ

জ্বর ডেঙ্গিতে হাবরা শহরে এ বার মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। কেন জ্বর ডেঙ্গি ছড়াল? হাবরা পুর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, মূলত প্লাস্টিক ও থার্মোকলের যথেচ্ছ ব্যবহার এর অন্যতম প্রধান কারণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

মূলত মশার দাপট রুখতে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাবরা পুরসভা। পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস জানান, ১ জানুয়ারি থেকে হাবরা শহরে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

জ্বর ডেঙ্গিতে হাবরা শহরে এ বার মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। কেন জ্বর ডেঙ্গি ছড়াল? হাবরা পুর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, মূলত প্লাস্টিক ও থার্মোকলের যথেচ্ছ ব্যবহার এর অন্যতম প্রধান কারণ। নিকাশি নালাগুলি প্লাস্টিক ও থার্মোকলে ভরে থাকে। বসত বাড়ি ও আশেপাশের এলাকার মানুষ যত্রতত্র প্লাস্টিক ও থার্মোকল ফেলে রাখেন। ওই সব প্লাস্টিক ও থার্মোকলের থালা, গ্লাস, বাটিতে জল জমে ডেঙ্গির লার্ভা জন্মাচ্ছে।

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করতে শুক্রবার পুরসভার ৭৮টি ব্যবসায়ী সংগঠন হাবরা চেম্বার অব কর্মাসের প্রতিনিধিদের নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেন পুরপ্রধান ও হাবরা থানার আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মজুতদারদের নিয়েও তাঁরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুরসভার পক্ষ থেকে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ জানুয়ারি থেকে শহরে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে ৫১ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতন করতে প্রচার অভিযান চলবে। তবে ৫১ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক কেউ ব্যবহার বা বিক্রি করছেন কিনা তার উপরে নজরদারি চলবে। আইসি বলেন, ‘‘সোমবার থেকে ধরপাকড় শুরু হবে। কেউ যদি ৫১ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার করেন, তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় (আইপিসি ২৮৪) মামলা রুজু করা হবে।’’ তবে ধরপাকড়ের সময়ে পুর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে ৫১ মাইক্রোন লেখা নকল প্লাস্টিক কারবারিদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ধরনের নকল প্লাস্টিক বিক্রি শহরে বেড়ে গিয়েছে। ওই ধরনের কারবারিদের বিরুদ্ধে ২৮৪ ধারার পাশাপাশি ৪২০ ধারাতেও মামলা রুজু করবে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধারায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা হওয়ার আইন রয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্লাস্টিক দূষণ মানুষকে সচেতন করতে স্কুল-কলেজে গিয়ে পড়ুয়াদের বোঝানো হচ্ছে। স্থানীয় ক্লাব ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও ওই কাজে নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে একটি নাগরিক কনভেনশনও করা হবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন।

১ জানুয়ারির পরে কোনও মজুতদার প্লাস্টিক বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করবে পুরসভা। কেউ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে ধরা পড়লে ১০০ টাকা জরিমানা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement