ইছামতীতে জেগে ওঠা চরে হবে গেস্ট হাউস

ইছামতী নদীর উপরে জেগে ওঠা একাধিক চরের দখল নিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেই চর দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল বাদুড়িয়া পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৯
Share:

পরিকল্পনা: নিজস্ব চিত্র

ইছামতী নদীর উপরে জেগে ওঠা একাধিক চরের দখল নিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেই চর দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল বাদুড়িয়া পুরসভা। সরকারি নিয়ম মেনে সেই জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে পুরসভার পক্ষ থেকে পার্ক, ডাম্পিং গ্রাউন্ড এবং গেস্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

Advertisement

বাদুড়িয়া পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক ধরেই বাদুড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তারাগুনিয়া গ্রামের দিকে ইছামতী নদীর উপরে চর জেগে উঠছে। ওই চরগুলির আশপাশের বাসিন্দারা সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করতে শুরু করেন। কয়েকজন তো চরের কিছু এলাকা ইটভাটা মালিকদের লিজ দিয়ে দেন। কেউ কেউ আবার চর থেকে ট্রাক-ভর্তি করে মাটি কেটে নিয়ে যেতে থাকে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টো দিকে বাজিতপুর পঞ্চায়েতের ফতুল্লপুর গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মাটি কাটার ফলে ইছামতীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে।

এ রকম একাধিক অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুরসভা। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘নদীর ধারে জেগে ওঠা চরের দখল নিয়ে দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছিল। অনেকে চর ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধাও নিচ্ছিলেন। তাই পুরসভা থেকে চরের দখল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুবই ভাল হয়েছে।’’

Advertisement

বাদুড়িয়া পুরসভার এক কর্তা জানান, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে চরগুলি মাপজোক করার পরে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬৫ বিঘা চর জেগেছে। ওই জমি যাতে বেআইনি ভাবে কে‌উ ব্যবহার করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পুরপ্রধান তুষার সিংহের কথায়, ‘‘ওই চর সরকারি নিয়ম মেনে অধিগ্রহণের পরে সেখানে পার্ক, গেস্ট হাউস এবং ময়লা ফেলার জায়গা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement