River

জলমগ্ন মৌসুনি, সাগরের বিভিন্ন এলাকা, জোয়ারে কী হবে? সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি এবং পয়লাঘেরি এলাকা প্লাবিত। প্রায় ৫০০ মিটারের মতো নদীবাঁধ ভেঙেছে ওই এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকার পর্যটন ব্যবসাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সাগর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৯
Share:

জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ। — নিজস্ব চিত্র।

বৃষ্টি এবং প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে বাঁধ ভেঙেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি নদীর। তার ফলে জলমগ্ন মৌসুনি দ্বীপ এবং সাগর ব্লকের কিছু জায়গা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীবাঁধও৷ সেই সব এলাকা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার জোয়ার হলে নদীবাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাতে নতুন করে কিছু এলাকা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি এবং পয়লাঘেরি এলাকা প্লাবিত। প্রায় ৫০০ মিটারের মতো নদীবাঁধ ভেঙেছে ওই এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই এলাকার পর্যটন ব্যবসাও। সেখানে যে সব হোম স্টে ছিল, সেগুলি জলোচ্ছ্বাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত। ওই এলাকার বটতলা নদী বাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ফলে বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকেছে। কাকদ্বীপের তিলোকচন্দ্রপুর এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে আশপাশের এলাকায়। তার ফলে প্রায় একশোটি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে।

পূর্ণিমা এবং দ্বিতীয়ার ভরা কটালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর ব্লকের মন্দিরতলা, চকফুলডুবি, মনিসামারি এবং মুড়িগঙ্গা-২ পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা। জোয়ারের কারণে জলমগ্ন কপিলমুনির আশ্রমের মন্দির চত্বর। সেখানে থাকা পর্যটকরা এখন হোটেলবন্দি। খালি করে দেওয়া হয়েছে মন্দির সংলগ্ন এলাকা। সমুদ্রে নামতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তবে অনেক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। এই সময় জোয়ার হলে বাঁধের ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়বাসিন্দাদের। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রশাসন প্রস্তুত। বাঁধ মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর রিপোর্ট জমা পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement