Jharkhali

হোম-স্টে তৈরিতে সরকারি সাহায্য ঝড়খালিতে

বন দফতর সূত্রের খবর, ঝড়খালি এলাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাড়িতে পর্যটকদের জন্য হোম স্টে-র ব্যবস্থা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝড়খালি  শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০৬:০০
Share:

ঝড়খালির এই দৃশ্য দেখার জন্যই ভিড় করেন পর্যটকেরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

সুন্দরবনের ঝড়খালিতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে পর্যটকদের জন্য তৈরি হচ্ছে হোম স্টে-র ব্যবস্থা। এলাকায় হোম স্টে ভিত্তিক পর্যটনকে চাঙ্গা করতে বাড়িগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ৬০টি বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে হোম স্টে তৈরির জন্য। সেগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে দেড় লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতর, পর্যটন দফতর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মিলিতভাবে এই প্রকল্প রূপায়ণে এগিয়ে এসেছে। মোট তিনটি ধাপে বাড়ির মালিকদের টাকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার ঝড়খালিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ের পঞ্চাশ হাজার টাকা। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রশাসনের কর্তারা হোম স্টে গুলি পরিদর্শন করবেন। সন্তুষ্ট হলেই তবেই দ্বিতীয় ধাপের অর্থ বরাদ্দ হবে। এইভাবে খুব দ্রুত হোম স্টে গুলিকে পর্যটনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। আগামী মরসুমেই এগুলিকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

বন দফতর সূত্রের খবর, ঝড়খালি এলাকায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বাড়িতে পর্যটকদের জন্য হোম স্টে-র ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলির পরিকাঠামো তেমন উন্নত নয়। নদী ও জঙ্গল লাগোয়া ঝড়খালি এলাকায় হোম স্টে যথেষ্ট জনপ্রিয় হতে পারে সমীক্ষা করে দেখেছে বন দফতর। এরপরই দফতরের তরফে রাজ্য পর্যটন দফতর ও জেলা প্রশাসনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাব খতিয়ে দেখে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৯০টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে থেকে ৬০টি বাড়িকে সরকারি সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক একটি বাড়িতে অন্তত যাতে ১২জন পর্যটক থাকতে পারেন, সেই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সমস্ত বাড়ির মালিকদের পর্যটন দফতর ও বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে আতিথিয়তার ট্রেনিংও দেওয়া হবে। বনদফতরের এক আধিকারিক জানান, কলকাতার সাথে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ থাকায় সেখানে পর্যটকদের কাছে ঝড়খালি পৌঁছনো সুবিধাজনক। তাছাড়া ঝড়খালিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য, প্রজাপতি উদ্যান এবং সর্বোপরি ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। ইচ্ছেমতো জঙ্গলে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি এখান থেকেই নৌকা, ভুটভুটি করে নদীবক্ষে ঘুরে বেড়ানো বা সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নদী পথে ভ্রমণের ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই কারণেই এই এলাকাকে বেছে হোম স্টে ভিত্তিক পর্যটনে জোর দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা বন বিভাগের ডিএফও সন্তোষা জিআর বলেন, “ এই এলাকা থেকে বহু মানুষ মাছ কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে যান। সেখানে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়ে প্রাণ হারান অনেকে। তাই বিকল্প কর্ম সংস্থানের চেষ্টা করছি আমরা। আগেই মৌমাছি চাষের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার আরও কিছু মানুষকে এই হোম স্টে’র মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল বলেন, “এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে মানুষের

Advertisement

রোজগার বাড়বে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement