রাস্তার ধারের মালপত্র বাজেয়াপ্ত

দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কিন্তু বড় রাস্তার ধারে ফেলে রাখা ইট-বালি সরানোর নাম করছেন না ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ জমছিল বসিরহাট শহরে। শেষমেশ অভিযানে নামলো পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৩
Share:

বাজেয়াপ্ত: বসিরহাটে রাস্তার পাশ থেকে তোলা হচ্ছে ইট। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনা লেগেই আছে। কিন্তু বড় রাস্তার ধারে ফেলে রাখা ইট-বালি সরানোর নাম করছেন না ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ জমছিল বসিরহাট শহরে। শেষমেশ অভিযানে নামলো পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার রাতভর বসিরহাটের ইটিন্ডা ও টাকি রাস্তার দু’পাশে থাকা ইট-বালি ও পাথর লোক লাগিয়ে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রথম দিনের অভিযানে প্রায় ২০ হাজার ইট, দুই ট্রাক বালি এবং এক ট্রাক স্টোন চিপস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমন অভিযান চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।

গত ৭-৮ মাসে বসিরহাট মহকুমার ৯টি থানা এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, রাস্তার পাশে ইট-বালি ফেলে রাখায় দুর্ঘটনা এবং সে কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ১৫। অতিরিক্ত জোরে চালানোর জন্যও দুর্ঘটনা ঘটছে।

Advertisement

গত বছর স্বরূপনগরে সাইকেল আরোহী এক ছাত্র রাস্তার পাশে রাখা বালির উপরে পড়ে গেলে ট্রাক তাকে পিষে দেয়। বড় জিরাকপুরের তিন ছাত্র মোটর বাইকে যাওয়ার সময়ে টাকি রাস্তায় দুর্ঘটনায় পড়ে। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বর মাসে বসিরহাটের জামরুলতলার বাসিন্দা মেধাবী ছাত্র স্বর্ণেন্দু রায় এবং এক মাস আগে বসিরহাটের ছোট জিরাকপুর বাড়ি প্রিতম সাহার মৃত্যু হয় মোটর বাইক দুর্ঘটনায়।

প্রশাসনের দাবি, এলাকা ঘুরে দেখা যাচ্ছে, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী প্রতিদিন সকালে টাকি ও ইটিন্ডা রাস্তার উপরে গাড়ি রেখে ব্যবসা করেন। বহু মানুষ আছেন, যাঁরা বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে বালি-পাথর-ইট ফেলে রেখে কেনাবেচা করেন। কেউ কেউ আবার বাড়ি করতে গিয়ে রাস্তা দখল করে ইমারতি দ্রব্য দিনের পর দিন ফেলে রাখেন। এ সব আর করতে দেওয়া হবে না। এমনকী, বসিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ত্রিমোহণী থেকে বোটঘাট ইছামতী সেতু পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ আটকে যারা মালপত্র রেখে ব্যবসা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বার থেকে আর ইছামতী সেতুর উপরে গাড়ি রাখা কিংবা মালপত্র ফেলে ব্যবসা করা যাবে না।

বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত বলেন, ‘‘রাস্তা আটকে ব্যবসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রাস্তার দু’পাশ পরিষ্কার করতে যে অভিযান শুরু হয়েছে, তা চলতে থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement