—প্রতীকী চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা রুখে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। উদ্ধার হয়েছে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বাজারমূল্যের সোনা। ধরা পড়েছে এক পাচারকারী।
রবিবার গাইঘাটা থানার আংড়াইল সীমান্ত থেকে প্রসেনজিৎ হালদার নামে ওই পাচারকারীকে ধরে বিএসএফ। তার কাছ থেকে ২টি সোনার ইট এবং ৩৯টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। সীমান্তে নিয়মিত সোনার বিস্কুট উদ্ধারের ঘটনা ঘটলেও সোনার ইট উদ্ধারের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম।
বিএসএফ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সীমান্তে পাহারায় থাকা জওয়ানেরা লক্ষ করেন, তিন পাচারকারী ইছামতী নদী পেরিয়ে ঘাস এবং বাঁশের ঝোপের মধ্যে দিয়ে ভারতীয় সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে। চোরাকারবারিদের দেখতে পেয়ে তাড়া করেন জওয়ানেরা। প্রসেনজিৎ নামে ওই পাচারকারী ধরা পড়ে যায়। তার কাপড়ের বেল্ট থেকে সোনার ইট ও বিস্কুটগুলি মেলে। ধৃতের বাড়ি স্থানীয় হালদারপাড়া এলাকায়।
বিএসএফের দাবি, জেরায় ওই পাচারকারী জানিয়েছে, আংড়াইলের ঘোষপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার বাড়িতে এসে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সোনা আনার বরাত দেয়। পরিকল্পনা মতো আরও কয়েক জনের সঙ্গে সে ইছামতীর পাড়ে হাজির হয়। সেখানে নদী সাঁতরে এসে এক বাংলাদেশি তাদের হাতে সোনা দিয়ে ফিরে যায়। এর পরে তারা সোনা নিয়ে রওনা দেয়। সেই সময়েই বিএসএফের নজরে পড়ে যায় তারা। বাকিরা পালিয়ে যেতে পারলেও প্রসেনজিৎ ধরা পড়ে যায়। কার কাছে ওই সোনা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, সে ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনি ওই পাচারকারী।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্তা এ কে আর্য জানান, চোরাকারবারিরা গরিব মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য পেলে দ্রুত বিএসএফ-কে জানানোর আবেদন করেন ওই কর্তা। তিনি জানান, বিএসএফের ‘সীমাসাথী’ হেল্পলাইন নম্বরে (১৪৪১৯) ফোন করে তথ্য জানানো যেতে পারে। আরও একটি নম্বরেও (৯৯০৩৪৭২২২৭) ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ বা অডিয়ো-বার্তা পাঠানো যেতে পারে। ঠিক তথ্য দিলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। গোপন রাখা হবে পরিচয়ও।