এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৯জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমায়। বুধবার ওই ছাত্রীর পিসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সিপিএম নেত্রীর ছেলে এবং তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারীর পরিবার বিজেপির সমর্থক। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। কারণ বেশ কয়েকটি বিষয়ে তদন্ত করেই এগোতে চাইছে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অচিন্ত্যনগর থেকে বনশ্যামনগর যাচ্ছিল বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী। পথে সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে, এবং তৃণমূলের ব্লক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য-সহ কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার পরিবাবের সদস্যদের দাবি, ধর্ষণ করে অনেক্ষণ আটকে রাখার পর তাকে শাসানো হয়। অনেক রাতে তাকে দু’জন বাইকে করে বাড়ি ছেড়ে যায়। তবে বুধবার ওই কিশোরীর গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও চিহ্ন মেলেনি। তাকে পুণরায় কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার শরীরে গুরুতর কোনও আঘাতও নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম এবং তৃণমূলের সদস্যরা। সিপিএমের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘‘আমার ছেলে কম্পিউটার সেন্টার চালায়। যে সব অভিযোগকারীদের সঙ্গে ওর নাম জড়ানো হয়েছে, তাদের ভাল করে চেনেও না। মঙ্গলবার সারাদিন বাড়িতেও ছিল না ছেলে।’’ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বলেন, ‘‘যে সময় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সে সময় আমি নিজেই পাথরপ্রতিমা থানায় উপস্থিত ছিলাম।’’
পাথরপ্রতিমা থানার অচিন্ত্যনগরে বিজেপি নেতাদের একটি অংশের সঙ্গে তৃণমূল এবং সিপিএমের স্থানীয় সদস্যদের একটি পুরনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এর মধ্যেই এই অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলের একটি অংশ মনে করছে, দলকে মিথ্যে বদনাম করতেই এরকম অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএম সূত্রেও তাই দাবি করা হয়েছে।