প্রতীকী ছবি।
বাবার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুই ভাইকে অপহরণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। দুই ভাইয়ের এক জন নাবালক। অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য অপহৃত দুই ভাইকে উদ্ধার করে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেছেন বেনিয়াপুকুর থানার তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে আটক করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটিও।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে, বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায়। অপহৃত দুই ভাইয়ের বাড়ি সেখানেই। এক জনের বয়স ১৫ বছর, অন্য জনের ২০। ওই দু’জনের দাদা সে দিনই বেলা ১১টা নাগাদ অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে জানান, তাঁর দুই ভাইকে বাবার সঙ্গে (তিনি থাকেন বারাসতে) দেখা করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এলাকারই চার জন তুলে নিয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে ভাইদের কোনও খোঁজ নেই।
তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পারে, অপহরণে ব্যবহৃত সাদা রঙের ওই গাড়িটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় রয়েছে। বেনিয়াপুকুর থানা থেকে খবর পেয়ে সেখানকার পুলিশ ওই গাড়িটি আটক করে এবং দুই ভাইকে উদ্ধার করে। পরে বেনিয়াপুকুর থানার তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ সফিক, রিয়াজ আহমেদ, শেখ মানোয়ার এবং প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। প্রত্যেকেরই বাড়ি তিলজলা এলাকায়। রিয়াজ গাড়িচালক। সে-ই গাড়িটির ব্যবস্থা করেছিল। ধৃতদের শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযোগকারীদের সঙ্গে অভিযুক্ত মহম্মদ সফিকের বিবাদ চলছে গত বেশ কয়েক বছর ধরে। বিবাদ মেটাতে দু’পক্ষের মধ্যে বার বার সমঝোতার চেষ্টাও হয়েছে। সেই সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী, অভিযোগকারীদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা ছিল বলে দাবি সফিকের।
কিন্তু পুলিশের কাছে তার অভিযোগ, সে ওই টাকা পায়নি। সেই কারণেই তা আদায় করতে অপহরণের ছক কষা হয়েছিল। সেই মতো, বাবার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুই ভাইকে অপহরণ করা হয়েছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, অভিযুক্তদের পাশাপাশি অভিযোগকারীদের বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের বয়ানও নেওয়া হচ্ছে। তা হলেই বোঝা যাবে, দুই ভাইকে অপহরণের পিছনে প্রকৃত ঘটনা কী। ধৃত চার জনের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে পুলিশের তরফে।