উদ্ধার হওয়া কচ্ছপদের মধ্যে ২১৫টি জীবিত, ৯টি মৃত
Tortoise Racket

Tortoise: ঘরের মেঝে খুঁড়ে রাখা হত ওদের

ইদানীং বছরভরই কচ্ছপের কারবার চলছে বলে বন দফতরের কর্তারা জানতে পেরেছেন। মূলত গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে বাজারে কচ্ছপ আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ০৭:০৪
Share:

উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।

ভিন্ রাজ্য থেকে চোরাপথে আনা হত কচ্ছপ। ঘরের মেঝেয় মাটি খুঁড়ে রাখা হত সেগুলি। পরে গোপনে পাঠিয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন বাজারে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বেআইনি কারবারের কথা টেরও পাননি আশপাশের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বন দফতরের কর্তারা হানা দেন গোবরডাঙার গণদীপায়ন এলাকার ওই বাড়িতে। মেঝেতে মাটি মাখা কচ্ছপগুলি মেলে। বন দফতর সূত্রের খবর, ২১৫টি জীবিত এবং ৯টি মৃত কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির মালিক গৌতম মজুমদার পলাতক। তার খোঁজ চলছে। এর আগেও গৌতম গ্রেফতার হয়েছিল বলে জানান বন দফতরের কর্তারা। উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য বনাধিকারী রাজু সরকার জানান, এ দিন উদ্ধার হওয়া জীবিত কচ্ছপগুলিতে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে। এত দিন সাধারণত শীতকালেই কচ্ছপ পাচারের খবর মিলত। বারাসত, বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বা গোপনে কচ্ছপ বিক্রি হতেও দেখা যেত। অতীতে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কচ্ছপ পাচার চক্রের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ ও সিআইডি।

Advertisement

কয়েক বছর আগে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে সিআইডি আন্তর্জাতিক এক পাচারকারীকে গ্রেফতারও করেছিল। অভিযোগ, প্রতি বছরই কচ্ছপ উদ্ধার হয়। কারবারি গ্রেফতার হয়। কিন্তু কারবার বন্ধ হয় না। ইদানীং বছরভরই কচ্ছপের কারবার চলছে বলে বন দফতরের কর্তারা জানতে পেরেছেন। মূলত গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে বাজারে কচ্ছপ আসে। সাধারণত মাছের গাড়িতে, মাছের ট্রে-র নীচে লুকিয়ে কচ্ছপ পাচার হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement