তালিম: বিদেশি পায়ে দেশি ফুটবল। নিজস্ব চিত্র
গ্রাম বাংলায় ফুটবল প্রতিভার অভাব নেই। দরকার শুধু শৃঙ্খলা এবং সঠিক প্রশিক্ষণ।
কলকাতার ফুটবল ময়দানে কান পাতলেই শোনা যায় এই কথা। এ বার সেই কথাই শোনা গেল জার্মানির এক ফুটবল প্রশিক্ষকের মুখে। বসিরহাটে একটি স্কুলভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় এসে তিনি বললেন, ‘‘এখানে এসে ৪০ জন ফুটবলারকে দেখলাম। এদের মধ্যে কমবেশি ১০ জন ইউরোপের ক্লাবে খেলার ক্ষমতা রয়েছে। দরকার শুধু প্রশিক্ষণ।’’ তিনি জানালেন, এই ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে এক জনকে বেছে নেওয়া হবে। তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য স্পেনের বার্সেলোনায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক তথা ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৬টি স্কুলকে নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। প্রতিযোগিতাটির নামকরণ করা হয়েছে বসিরহাটের বাসিন্দা, প্রয়াত ফুটবলার রবীন সেনগুপ্ত ওরফে ঘ্যাসদার নামে। স্থানীয় বদরতলার নিউ বাণী সঙ্ঘের মাঠে সেই খেলা শুরু হয়েছে বুধবার। ফাইনাল শনিবার। সেখানেই অতিথি হিসেবে এসেছিলেন জার্মানির একটি ফুটবল ক্লাবের প্রশিক্ষক জেরাসিমোস অ্যানাস্তাসিও ওরফে মাইক। তাঁর উদ্দেশ্য, ভাল ফুটবল প্রতিভার খোঁজ করা। আয়োজকেরা জানাচ্ছেন, বসিরহাটে দিন কয়েক থাকবেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন ফুটবল প্রশিক্ষককেও তালিম দেবেন।
বুধবার বসিরহাটে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাহেব কোচ। সেখানে তিনি ছাড়াও ছিলেন কলকাতার ‘ফুটবল নেক্স ফাউন্ডেশনে’র কর্তা কৌশিক মৌলিক, বিধায়ক দীপেন্দুবাবু-সহ কয়েকজন। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে, রোড টু স্পেন। কলকাতা থেকে ইতিমধ্যেই ৩ জন ফুটবলার বাছা হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে বসিরহাট। আমাদের লক্ষ্য, গ্রাম-বাংলার ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস দেওয়া। প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’
দীপেন্দুবাবু জানান, বসিরহাট থেকে নতুন ফুটবল প্রতিভা তুলে আনার জন্যই ‘ফুটবল নেক্স ফাউন্ডেশনে’র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই উদ্যোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ‘এফসি বসিরহাট’ নামে একটি দল তৈরির কাজ চলছে। সেই দলটির লক্ষ্য হবে, কলকাতা লিগে খেলা। প্রয়োজনে দলটিকে স্পেনে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।