লোভনীয়: এ ভাবেই বিক্রি হচ্ছে খাবার। কাঁকিনাড়ায়। নিজস্ব চিত্র
খাবারের গুণমানে নজর রাখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহর কলকাতা ছাড়াও শহরতলির বহু পুরসভায় সেই নজরদারি শুরু হয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পুরসভাগুলিতে খাওয়ার দোকানগুলির রান্না করা ও পরিবেশনের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উপরে জোর দিতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। কিন্তু কাঁকিনাড়ার আর্যসমাজ বিদ্যালয়ের সামনে উল্টো ছবি দেখা গেল। সচেতনতা বা মুখ্যমন্ত্রীর সাবধানবাণীর কোনও মিল নেই সেখানে।
টিফিনের সময়ে পাপড়ি চাট, ঘুগনি, ইডলি, দইবড়া নানান খাবার নিয়ে দোকান বসেছে দোকান। ধুলো ওড়া রাস্তার ধারে সস্তার ঘুগনি চাট বা মশলাদার খাবারের লোভ এড়াতে পারছেন না বাসিন্দারাও। দোকানগুলি স্কুলের সামনে বসায় শিশু ও কিশোর ক্রেতার ভিড় বেশি। কাঁকিনাড়ার একটি স্কুলের শিক্ষক দেবপ্রসাদ গোঁসাই বলেন, ‘‘আমরা স্কুলে পড়াচ্ছি পরিচ্ছন্ন থাকার কথা। হাত-মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার কথা, রান্না করা খাবার ঢাকা দিয়ে রাখার কথা। কিন্তু ক্লাস থেকে বেরিয়েই ছাত্রছাত্রীরা বেমালুম সেটি ভুলে যাচ্ছে। কেউ বলার নেই।’’
শুধু আর্যসমাজ বিদ্যালয় নয়, এলাকার অধিকাংশ স্কুলের সামনের ছবিটাই এক। প্রবীণ চিকিৎসক বিজনবিহারী রথ বলেন, ‘‘এই সময়টাই জীবাণুবাহিত অসুখ বেশি ছড়ায়। তাই সকলের সতর্ক হওয়া উচিত।’’ ভাটপাড়ার পুরপ্রধান অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য দফতরের দল এলাকায় ঘুরছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে খুব তাড়াতাড়ি এ সব বন্ধ করা মুশকিল। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি।’’