নির্যাতিতার বাড়িতে আগুন কাকদ্বীপে

ঘরে বাইরে আশঙ্কায় সাগর এবং কাকদ্বীপে দুই নিহত ছাত্রীর পরিবার। দু’জনকেই ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে, সাগরে এখনও এফআইআরে নাম থানা প্রভাবশালী এক অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। কাকদ্বীপের নিহত ওই ছাত্রীর বাড়িতে রাতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৪
Share:

ঘরে বাইরে আশঙ্কায় সাগর এবং কাকদ্বীপে দুই নিহত ছাত্রীর পরিবার। দু’জনকেই ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে, সাগরে এখনও এফআইআরে নাম থানা প্রভাবশালী এক অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। কাকদ্বীপের নিহত ওই ছাত্রীর বাড়িতে রাতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

তিনমাস আগে কাকদ্বীপে এক ছাত্রীর দেহ পাওয়ার পর ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। শনিবার রাতে তা দের বাড়ির বাঁশের বেড়ায় আগুন ধরে যায়। তাতে কেউ হতাহত হয়নি। প্রতিবেশিরা দেখতে পেয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ওই পরিবারের সদস্যদের দাবি, কেউ ইচ্ছে করেই তাদের বিব্রত করার চেষ্টা করছে। রবিবার ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘সাগরে যে ছাত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমরা সম্প্রতি দেখা করতে গিয়েছিলাম। তারপরেই এভাবে বাড়িতে আগুন ধরে যাওয়ায় আশঙ্কার মধ্যে রয়েছি।’’ তাঁদের নানাভাবে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ দিনের ঘটনার পরে তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দুই পুলিশকর্মী।

অন্য দিকে, সাগরে ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত তথা এলাকায় প্রভাবশালী বলে পরিচিত প্রবীর সর্দার এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এরই প্রতিবাদে এ দিন সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নেত্রীরা মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাগর থানায় স্মারকলিপি দেয়। তার আগে তাঁদের বাড়িতে যান সংগঠনের নেত্রী ভারতী মুৎসুদ্দি। মেয়েটির পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এখনও ওই প্রভাবশালী বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। তাই ওই অভিযুক্তকে দ্রুত পুলিশ গ্রেফতার করুক।

Advertisement

জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত প্রবীরের খোঁজ চলছে। রবিবার এই ঘটনায় সমীরণ সামন্ত নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২২ বছরের ওই যুবকের বাড়ি স্থানীয় মন্দিরতলায়। আগামী কাল তাকে আদালতে তোলার কথা। সাগর কান্ডে এই নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement