তখনও নেভানো হচ্ছে আগুন। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
বন্ধ গুদাম। শাটারের ফাঁক থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সেই দেখে এক যুবক হাঁকাহাঁকি করেন। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। ৪টি দমকলের ইঞ্জিন এসে কয়েক ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ততক্ষণে ভস্মীভূত গোডাউন।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকার একটি মোটরবাইকের যন্ত্রপাতির গোডাউনে। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে সকাল ৫টা বেজে গিয়েছে। কী থেকে আগুন লাগল তা এখনও পরিষ্কার নয়। ওই এলাকারই বাসিন্দা গোডাউন মালিক আমিনুজ্জামান বলেন, ‘‘অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। গুদামে বাংলাদেশে রফতানির জন্য কিছু দামি যন্ত্রাংশ রাখা হয়েছিল। সব পুড়ে গেল। প্রায় দেড় কোটি টাকার লোকসান হল।’’ তবে তিনি কাজের প্রয়োজন সে সময় এলাকায় ছিলেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আমিনুজ্জামিনের ছোট ছেলে আনিসুরজ্জামিন গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্লাবের সদস্যরা মিলে শাটার ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়নি। পরে হাবরা ও গোবরডাঙা থেকে দমকলের আরও দু’টি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এলাকার মানুষ দমকলবাহিনীকে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করেছেন।