খাল-বিল ঘুরে দেখছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।
ব্যারাকপুর ১ ও ২ ব্লক এলাকায় বিভিন্ন খাল ও বিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এই এলাকায় চারটি পঞ্চায়েত জুড়ে বিস্তৃত প্রায় এক হাজার বিঘার বর্তি বিল বর্তমানে বেহাল। এক সময়ে খরিফ চাষে খুব ভাল ফলন হত এই বিলে। প্রায় তিরিশ হাজার বাসিন্দা নির্ভরশীল ছিলেন এই বিলের চাষে। বর্ষায় জল জমলে নৌকো করে বিলে মাছ ধরতেন অনেকে। বর্তমানে গভীর নলকূপ খুঁড়ে হাতে গোনা কয়েক জন চাষ করেন।
নৈহাটি বিধানসভার মথুরা বিলেরও একই অবস্থা। এলাকা ও আশেপাশের কয়েকটি জেলার মাছের বাজারে এখান থেকে মাছ যেত। এখন সেই বিল মজে গিয়েছে। কয়রাপুর খাল ও রুইয়া খালের দু’পাশ ভরা বর্ষায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সারা দিন মাথায় বাঁশের টোকা পরে স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে বিলগুলিতে ঘোরেন সেচমন্ত্রী। স্থানীয় মানুষ, চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এলাকার লোকজন জানান, চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু চাষি পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন্ রাজ্যে চলে গিয়েছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, সেচ দফতরের প্রধান সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র, মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক ও অন্য আধিকারিকেরা।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘সেচ দফতরের আওতায় থাকা বা না থাকা সব ক’টি খাল ও বিল সংস্কার হবে। হয় তো একটু সময় লাগবে। বর্তি বিল ও মথুরা বিল সংস্কারের কাজ অবিলম্বে শুরু হবে। কয়েক হাজার মানুষের রুটি-রুজি এই দুই বিলের উপরে নির্ভরশীল।’’ বর্তি বিলে দীর্ঘ তিন পুরুষের চাষ কেউটিয়ার নিতাই সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘এক সময়ে বর্তি বিল বিখ্যাত ছিল সুজলা-সুফলা বলে। এখন শুধু শীতে বাইরের বহু পাখি আসে। কিন্তু চাষিদের রুটিরুজির জায়গাটা হারিয়ে গিয়েছে। সেচ বিভাগ উদ্যোগী হলে হয় তো অন্য পেশা ছেড়ে অনেকে চাষে ফিরবেন।”