মানসের অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল এবং সিপিএমের ঝামেলায় উত্তেজনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। পুরসভার এমপ্লয়িজ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচনে সিপিএম কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনকি, সেখানে ওই বিধানসভার প্রাক্তন বাম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়কে নিরাপত্তারক্ষীরা নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
শনিবার কামারহাটি পুরসভার কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল। পুরসভা ভবনের গেটের ভিতরে এবং বাইরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই শুরু হয় অশান্তি। ভোট শুরুর আগেই গন্ডগোল শুরু হয়। সেই ছবি তুলতে গেলেই আক্রান্ত হতে হয় সংবাদমাধ্যমকেও। কয়েক জন সংবাদকর্মীর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং গন্ডগোলের ভিডিও ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশবাহিনী আসে। মোতায়েন হয় র্যাফ। সিপিএমের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি পাকিয়েছে শাসকশিবির। কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোটের নামে প্রহসন চলছে। নির্বাচনের শুরুতেই সব ভোট পড়ে গিয়েছে।’’ বিরোধীদের বক্তব্য, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সামান্য পুরসভার কো-অপারেটিভ নির্বাচনে যদি এই ছবি দেখা যায়, তা হলে অবশ্যই তা চিন্তার।
এ নিয়ে কামারহাটি পুরসভার প্রধান গোপাল সাহার যুক্তি, ‘‘প্রথমত, নির্বাচনে বাইরের কারও যাওয়ার দরকার ছিল না। তা ছাড়া বাইরে থেকে কিছু লোক যখন ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন তাঁরা। এর পরই ঝামেলা হয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।’’