Crime

ফোন-ল্যাপটপ চুরি, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ, রিষড়ায় ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র

ধৃত আদিত্য কুমারের বাড়ি বিহারের পটনায়। বারাসতের কাজীপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্সে পড়াশোনা করছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১৫:০০
Share:

স্থানীয়দের দাবি, সহপাঠীদের বেশ কয়েকটি ফোন, ল্যাপটপ চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন ধৃত ছাত্র। প্রতীকী ছবি।

ফোন-ল্যাপটপ চুরি নিয়ে গন্ডগোলের জেরে সহপাঠীদের আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে রিষড়ায় গ্রেফতার এক কলেজছাত্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বারাসত থানার পুলিশ। বুধবার জেলা আদালতে হাজির করানোর পর জেল হেফাজতের আবেদন করা হবে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আদিত্য কুমারের বাড়ি বিহারের পটনায়। বারাসতের কাজীপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা কোর্সে পড়াশোনা করছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার রিষড়ায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে কাজীপাড়ার ওই কলেজের আশপাশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদিত্যকে দেখতে পান তাঁরা। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশির পর তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরে আদিত্যর সহপাঠীদের ফোন, ল্যাপটপ চুরি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। তাঁদের অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখাতেন আদিত্য। সহপাঠীদের বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ তিনি চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। শেখ আব্দুল হালিম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘ছেলেটির ব্যাগে আর্মস পাওয়া গিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মদ-গাঁজা সবই খায়। ছাত্রটির মা-বাবাকে খবর দেওয়ার জন্য কয়েকটি নম্বরে ফোন করা হলেও তা ধরছেন না তাঁরা। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’ মেহবুব রহমান গাজি নামে ওই কলেজের এক অভিভাবক বলেন, ‘‘কখনও ভাবতে পারিনি যে একটা শিক্ষিত ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ল্যাপটপ, ফোন চুরি করেছে বলে এই ছেলেটা স্বীকার করেছে।’’

Advertisement

গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বারাসত থানার পুলিশ। আদিত্যর হাতে কী ভাবে অস্ত্র এল এবং কেনই বা তিনি ভয় দেখাচ্ছিলেন, এ সব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বুধবার তাঁকে বারাসত আদালতে হাজির করানোর পর ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement